পৌর ভোটে থাকতে পারবেন জামায়াত নেতারা

দলীয় প্রতীক নিয়ে না পারলেও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে আইনী কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। সাংবাদিকদেন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, জামায়াতের বিষয়ে আইনে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। যে দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে সেই দলের প্রতীক ব্যবহার করে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।

সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে নিজের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করে। বর্তমানে এ আপিল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। আপিলের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত দলগতভাবে এবং দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না দলটি। এছাড়া শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দলটিকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করারও দাবি রয়েছে।

বিএনপির দাবি অনুযায়ী নির্বাচন পেছনোর বিষয়ে তিনি বলেন, শিডিউল পেছানো যাবে না। আমরা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।

নির্বাচন একদিন পেছানো যায় কি না সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেখলাম একদিনও পেছানো যাবে না। ডিসেম্বরে না করলে পৌর নির্বাচন করাই যাবে না।

আওয়ামী লীগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছি। যা বিধি করেছি তা পরিবর্তন করা সমিচীন হবে না।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচন হবে।



মন্তব্য চালু নেই