বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা অক্ষয়কুমার অভিনীত ‘‌এন্টারটেইনমেন্ট’‌ ছবির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। সেই ছবিতে‌ এক ধনী ব্যবসায়ী তার মৃত্যুর আগে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি তার পোষা কুকুরের নামে করে দিয়ে যান। এবার সেই সিনেমার গল্পই হুবহু মিলে গেল ভারতের মুম্বাইয়ের সাচদে পরিবারের সঙ্গে।

দুটি গোল্ডেন রিট্রিভারকে নিজেদের সন্তানের মত করে আদর করেছেন সাচদে দম্পতি। রূপার চামপ ও প্লেটে খাইয়েছেন, গলায় সোনার চেন পরিয়ে বড় করেছেন। সেই সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ করেছেন,‘‌ওদেরকে কুকুর বলে ডাকবেন না। ওরা আমার সন্তান। ’‌ তারা এই দুই পোষ্যর নাম দিয়েছেন বাড্ডি এবং টিনি। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর সন্তানসম দুই কুকুরের কী হবে, সেই চিন্তাতেই ঘুম হয় না তাদের। নন্দিনী সাচদে তাই তার ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাড্ডি এবং টিনির নামে করে দিতে চান। যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে মুম্বাইয়ের ধনীতম পোষা কুকুর হতে চলেছে এই দু’‌জন।

তবে এটি কিন্তু বড়লোকের খেয়াল নয়, বরং অপত্য স্নেহ। যতই স্নেহের কুকুর হোক, সাধারণত পরিবারের মানুষরা পোষ্যের প্লেটে খাবার খায় না। কিন্তু সাচদে দম্পতি এক্ষেত্রেও আলাদা। বাড্ডি ও টিনির প্লেটেই তাদের খাবার ওঠে। নন্দিনীর মতে, ‘‌মানুষের সন্তান হলে আমরা একই প্লেট ব্যবহার করতাম। ওরা আমার সন্তান, তাই আমরা বাড্ডি ও টিনির ব্যবহার করা রুপোর প্লেটেই খাই। ’‌

১৯৯৮ সালে নন্দিনী মুম্বাইতে আসেন। ২০০২ সালে ব্যবসায়ী নিমেশের সঙ্গে বিবাহ হয়। আর পাঁচজন নারীর মতোই নন্দিনীর স্বপ্ন ছিল মা হওয়ার। কিন্তু শারীরিক অসুবিধার কারনে সেই সাধ মেটেনি। নন্দিনী তাই বলেন, ‘‌একদিন নিমেশ বাড্ডিকে কিনে বাড়িতে আনে। ওকে আমি ভালবেসে ফেলি। বাবা–মায়েরা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেন। আমিও তাই মুম্বাই ও কলকাতার সম্পত্তি ওদের নামে করা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। ’