পেয়াজ দিয়ে এক নিমেষেই বিষাক্ত ফরমালিন বের করে ফেলুন শরীর থেকে

বিষাক্ত ফরমালিন থেকে বাঁচার টিপসঃ আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে যে সমস্ত খাবার দাবার খাচ্ছি তা বিষাক্ত ফরমালিন সহ বিভিন্ন ধরনের বিষে পরিপূর্ন। জেনে অবাক হবেন, আপনি যতই সচেতন হোন না কেনো বিষাক্ত ফরমালিন সহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থের নাগাল থেকে কখনোই মুক্ত হতে পারবেন না। শুধুমাত্র একটা পথই আছে। আর তা হচ্ছে আপনার জীবনধারনের জন্য সমস্ত তরিতরকারী, সবজি ও তেল যদি নিজের ফার্ম বা খামার থেকে উৎপাদন করতে পারেন। তাহলে হয়তো বিষাক্ত ফরমালিন সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। যদিও যেটা বললাম সেটা সম্পূর্নরূপে অসম্ভব।
এমনটা হয়তো বাংলাদেশের যিনি শীর্ষ ধনী তিনিও এভাবে জীবন ধারন করেন না। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বিষাক্ত ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায় কি? উত্তরে এতটুকুই বলবো, বিষাক্ত ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায় নেই। কারন আপনি জ্ঞাতসারে দেখে শুনে ভাল জিনিস কিনলেও ওটার ভিতরে কি আছে সেটা কি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন? অবশ্যই না। তাহলে কি করবেন? আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলো এমন একটি উপায়, যেখানে দেখে শুনে খাবার খাওয়ার পর শরীরে যতটুকু বিষাক্ত পদার্থ ঢুকেছে সেটা বের করার চমৎকার একটি পদ্ধতি। এই বিষ বের করার প্রক্রিয়ায় কোন ওষুধ খেলে কাজ হবে না। আজকে শেয়ার করব কিভাবে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শরীর থেকে ফরমালিন সহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করবেনঃ

বিষাক্ত ফরমালিন সহ টক্সিন বের করুন
হাজার বছরের পুরনো চাইনিজ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, মানুষের পা হচ্ছে সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের শেষ অংশ। আর পায়ের নিচে এসে শেষ হয়েছে শরীরের সমস্ত রগ, শিরা এবং উপশিরা। যেটাকে শরীরের একদম শেষ চূড়া বলা হয়। আর এই সকল চূড়ার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত মানুষের নার্ভাস সিস্টেম। সোজা বাংলায় যেটাকে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র বলা হয়। ধারনা করা হয় মানুষের পায়ের নিচে প্রায় ৭০০০ বিভিন্ন ধরনের স্নায়ু এসে শেষ হয়েছে। এই স্নায়ুগুলো মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গের সাথে সরাসরি যুক্ত। এগুলো খুবই শক্তিশালী ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মতো মানুষের শরীর জুড়ে কাজ করে। আর এই জন্যই চাইনিজ বি্জ্ঞানীরা খালি পায়ে প্রতিদিন কিছু সময় হাটতে বলেন। কারন এসময় খালি পায়ে হাটলে পৃথিবীর মাটিতে থাকা নেগেটিভ আয়ন মানুষের শরীরের কিছু কিছু খারাপ জিনিস ধ্বংস করে ফেলে। যাই হোক আজকে আমরা দেখাবো কিভাবে শরীর থেকে বিষাক্ত ফরমালিন এর মতো আরো কিছু কিছু বিষাক্ত পদার্থ কিভাবে নামানো যায়।

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
একটি বড় সাইজের পেঁয়াজ
এক জোড়া মোজা

প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে আপনি আপনার দু পা খুব ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিন। তারপর রাতে শোয়ার আগে দুটি পেঁয়াজ মাঝ খান থেকে কেটে ফেলুন। এরপর পেয়াজের কাটা অংশ পায়ের পাতার ঠিক মাঝ বরারবর স্থাপন করে মুজা পুরোপুরি টেনে দিন। ভিডিও ও ছবিতে অর্ধেক টানা দেখানো হয়েছে কারন যাতে আপনি সহজে বুঝতে পারেন কিভাবে স্থাপন করতে হবে। এভাবে মাঝ বরাবর কাটা পেয়াজের কাটা অংশ দু পায়ের পাতায় স্থাপন করে মোজা টেনে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খুলে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করেঃ
পেয়াজকে বলা হয় শোষক বা গ্রেট এবজর্বার। পেয়াজ শরীরের সমস্ত বিষাক্ত টক্সিন বা ফরমালিন এর মতো অন্যান্য বিষ শোষন করে নিজের ভিতর নিয়ে নেয়।

সতর্কতাঃ
ব্যবহৃত পেয়াজ ভুলেও খাবেন না। কারো হাতের নাগালে না পাওয়া যায় এমন যায়গায় পেয়াজ ফেলে দিন অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলুন। মোজার পরিবর্তে অন্য কোন কিছু ব্যবহার করবেন না। অনেকে টেপ এর কথা বলতে পারেন কিন্তু তাতে পায়ের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্যঃ শরীরের বিষাক্ত ফরমালিন সহ অন্যান্য দূষিত পদার্থ বের করে আনার জন্য ডিটক্স প্যাচ ফুট কেয়ার নামে একটি পণ্য অনেক আগে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ কর্তৃক বাজারজাত করা হতো। কিন্তু এই প্যাডটি এখন আর বাংলাদেশে পাওয়া যায় না।



মন্তব্য চালু নেই