পেপার বিছিয়ে একত্রে ইফতার খাওয়ার এক ডজন টিপস

১. সবাই দেখবেন যার যার সামনের অংশ থেকে খাচ্ছে। আপনি আপনার সামনের অংশ অল্প কিছুক্ষণ খেয়ে একটু পরে মাঝখান থেকে নিয়ে খেতে শুরু করেন। তাইলে, অনেকক্ষণ পরে দেখবেন সবার সামনে থেকে ইফতারি শেষ হয়ে গেলেও আপনার সামনে ইফতারি থেকে যাবে। তখন আরামসে বসে বসে আপনার সামনের অংশ খাবেন।

২. নিজের সামনের অংশ দ্রুত খেয়ে ফেলতে পারলে। অন্য যার সামনে বেশি অংশ পড়ে আছে সেখান থেকে টেনে এনে মাঝখানে রাখবেন। মাঝখানে রাখার মানে হচ্ছে ইফতার গুলা নিউট্রাল জোনে রাখা। এইবার সেই নিউট্রাল জোন থেকে নিজের সামনে এনে এনে খান।

৩. খাইতে খাইতে মাঝে মধ্যে -বেগুনিটা তো ভালোই বানাইছে, জিলাপিটা মচমচা হইছে বলতে বলতে পাশের জনের সামনের অংশে থেকে বেগুনির টুকরা উঠায় নিবেন। এইটা একটা সুক্ষ্ণ স্ট্রাটেজি।

৪. ফ্রেন্ড সার্কেলে কার কার চুলকানি আছে বা কে কি খাইতে পছন্দ করে না, তা আগে থেকে জেনে রাখবেন। তারপর তার পাশে বসে, তার উপকার করতেছেন সেই স্টাইলে, “ও তোর তো আবার চুলকানির সমস্যা আছে” বলে তার সামনে থেকে বেগুনি উঠিয়ে নিয়ে খাবেন।

৫. ধরেন সবাই দুইটা করে খেজুর এনে নিজের সামনে রাখতেছে। আপনার চারটা খেজুর খাইতে ইচ্ছা করতেছে। তাইলে দুইটা খেজুর এনে মুড়ির উপরে রাখবেন। তারপর মুড়ি মাখানোর ভঙ্গি করে খেজুরের উপরে মুড়ি রেখে দিবেন। ব্যস, খেজুর গায়েব হয়ে গেলো। এবার স্বাভাবিকভাবে দুইতে খেজুর এনে আপনার সামনে রাখেন।

৬. মিক্স করার সময় প্রথমেই সব আলুর চপ, বেগুনি, জিলাপি মাখায় ফেলবেন না। দুই একটা আলুর চপ, বেগুনি উঠায়ে আপনার পাশে রেখে দেন। ইফতারি খাওয়া লাস্টের দিকে আসলে দেখা যায় মাখানো ইফতারির মধ্যে বেগুনি আর আলুর চপ শেষ হয়ে গেছে। সবাই খালি মুড়ি, পেঁয়াজুর ভাঙ্গা কোনাকোনি দিয়ে খাচ্ছে। আপনি তখন সাইডে রাখা আলুর চপ, বেগুনি বের করে ইয়াম্মি ইয়াম্মি করে খাবেন।

৭. সব মুড়ি শুরুতেই মাখায় ফেলবেন না। চার-পাঁচ মিনিট পরে, মুড়ি আর ক্রিসপি থাকে না। নরম নরম হয়ে যায়। তাই কিছু মুড়ি সাইডে রেখে দিবেন। আস্তে আস্তে মুড়ি যোগ করে করে আগাইতে থাকবেন। তাইলে মুড়ির ক্রিসপিনেস সবসময় পাওয়া যাবে।

৮. যে জিনিস পরে খাইলেও অন্যরে ভাগ দেয়া লাগবে না। যেমন, আপেল, কলা, গ্লাসে রাখা শরবত, ইত্যাদি। সেগুলা সাথে সাথে না খেয়ে পকেটে রেখে দিন। সব কিছু খাওয়া শেষ হয়ে গেলে ভুঁড়ি টিপতে টিপতে পরে খাইতে পারবেন।

৯. মাখাইতে বসলে জিলাপি বা বুরিন্দা টাইপের জিনিস মুড়ির সাথে মাখাবেন না। জিলাপির শিরা লেগে হাত আঠালো আঠালো হয়ে যায়। জিলাপি সাইড এ রেখে একটা আধাটা কামড় দিয়ে দিয়ে খাওয়া বেটার

১০. ইফতারের পরে ডিনারের আয়োজন থাকলে একটু দিল দরিয়া হয়ে যান। নিজের সামনে থাকে ইফতারি ফ্রেন্ডদের সামনে দেন। ভিতরে ভিতরে এইটা পেটের জায়গা খালি রাখার স্ট্রাটেজি। পরে ডিনার খাওয়ার সময় গলা পর্যন্ত খাবেন যাতে আর সেহেরী খাইতে উঠতে না হয়।

১১. ফ্রেন্ড সার্কেলে স্বাস্থ্য সচেতন কেউ থাকলে তো কোন কথাই নাই। তারে বলবেন, এই এইটার মধ্যে তেল বেশি তুই পেপার দিয়ে মোছ বা এইটা মনে হয় পুরাণ তেল দিয়ে ভাজছে। তাইলে সে আর ঐটা খাবে না। ব্যস, কেল্লা ফতে।



মন্তব্য চালু নেই