পেটের চর্বি গলিয়ে ওজন কমায় যে শাক!

আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাক থাকা খুব জরুরী। কারণ এটা ছাড়া শুষম খাদ্যের শর্ত পূরণ হয় না। আর পাতে যদি থাকে পালং শাক তাহলে তো ষোল কলাই পূর্ণ।

কারণ পুষ্টিতে ভরপুর পালং শাক আপনার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। পালংয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যনসার প্রতিরোধী গুণের কারণে এটি ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত।

সবুজ পাতার এ শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারে। পালংয়ে ভিটামিন ও মিনারেল আছে, এতে ক্যালরি কম থাকে। তাই ওজন কমাতে খাবারে বেশী করে পালং শাক রাখতে পারেন।

বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম, বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, ফোলেট (বি ৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম।

পালং শাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০% পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন এ ও কে-এর দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ও সেলেনিয়াম রয়েছে।

পালং শাকে পেটের চর্বি গলিয়ে ওজন কমানোর পাশাপাশি আর কী কী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হল:

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টসগুলো দেহের ফ্রি র‌্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে।

রক্তচাপ কমায় : পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম। এটা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

চোখের সুরক্ষায় : সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে।পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।

ত্বকের সুরক্ষায় : পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দূরীকরণেও বেশ কার্যকর।

ক্লান্তি দূর : পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে রয়েছে লিম্ফোবিক এসিড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও ই কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

প্রদাহ বিরোধী : যাদের জয়েন্টে ব্যথা আছে তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই শাক রাখলে উপকার পাবেন।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : এই শাকে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পালং শাকে বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকা আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই