পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে ক্ষতিকর কসমিক রে!

‘আজ রাতে পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে ক্ষতিকর উচ্চ তেজস্ক্রিয়তাসম্পন্ন কসমিক রে (মহাজাগতিক রশ্মি)। সুতরাং ক্ষতিকর এই রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে রাত ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আপনার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন অথবা শরীরের কাছ থেকে দূরে কোথাও রাখুন। বিশ্বাস না হলে গুগল, নাসা ও বিবিসির খবর অনুসন্ধান করে দেখুন। এবং সংবাদটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনকে জানান।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ইনবক্সে আজ হয়তো আপনি এরকম একটি মেসেজ পেয়েছেন। এবং সেটা বিশ্বাস করে আতঙ্কিত হয়ে মেসেজটি প্রিয়জনকে ফরোয়ার্ড করা শুরু করেছেন।

এবার একটু থামুন। কারণ এটা নিছকই একটা গুজব। গত সাত বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের মেসেজ দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। বাস্তবে এই মেসেজের কোনো ভিত্তি নেই।

আজ রোববার (২৬ এপ্রিল) আবার নতুন করে একই ধরনের গুজব ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে। সিঙ্গাপুর টিভির খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে রাত ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে।

এই মেসেজের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। জানা যায়, এই মেসেজের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এটি পুরোটাই গুজব।

অ্যাটমিক এনার্জি রিসার্চ এস্টাবলিশমেন্টের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ওজোন স্তর ভেদ করে কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মি সব সময়ই পৃথিবীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু ক্ষতিকর মাত্রায় নয়। মহাজগতে কোনো বিস্ফোরণ ঘটলে কসমিক রে প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং কসমিক রে প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবং এর সঙ্গে মোবাইল ফোন বন্ধ বা খোলা রাখারও কোনো সম্পর্ক নেই।’

নাসা বা বিবিসির ওয়েবসাইটে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায় নি। ইন্টারনেট ঘেঁটেও মেসেজটির সত্যতা মেলেনি। বরং এর আগে একাধিকবার যে এই ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে এবং এতে কান না দেওয়া কথা বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে অসংখ্য সংবাদ পাওয়া গেছে।



মন্তব্য চালু নেই