‘পূর্ণাঙ্গ আদেশের আগেই রায় কার্যকর সম্ভব’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরে সাত দিন সময় লাগবে-এমন কোনো কথা নেই।

সরকার চাইলে তার আগেই ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আইন মেনেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদের ফাঁসির রায় হয়েছে।তারা আইনি সব সুবিধাই নিয়েছে।এখন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়াটাই কেবল বাকি রয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বিশ্বের কোথাও এমন স্বচ্ছতা রেখে বিচার কার্য সম্পাদন করা হয়নি। তারা এখানে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাত দিনের আগেই ফাঁসি সম্ভব। আর এর মধ্যেই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের জন্য জেলকোড প্রযোজ্য নয়, তাই অপরাধীদের রায় কার্যকরে রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার প্রয়োজন হবে না। পূর্ণাঙ্গ আদেশের আগেই রায় কার্যকর সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘তবে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ দুই মানবতাবিরোধী অপরাধীর রায় কার্যকরের জন্য রিভিউ পিটিশনের পূর্ণাঙ্গ আদেশ দরকার হবে, নাকি অপারেশনাল পার্ট হলেই রায় কার্যকর করা যাবে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজি প্রিজনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।

রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর দণ্ডপ্রাপ্তরা ক্ষমা চাইবেন কি না-এ সিদ্ধান্ত নিতে চান সেক্ষেত্রে সরকার কি করবে; এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আসামিরা যেভাবে বলবেন আইন সেভাবে চলবে না। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের জন্য জেলকোড প্রযোজ্য না হলেও সর্বোচ্চ আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মোজাহিদকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, ওইসব অপরাধের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হুকুমদাতাদের দুই জনের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই বিচার কাজ সম্পন্ন করেছেন। এখন বাকি আইনি নিয়ম পালন করে রায় কার্যকর করা।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রায় বাস্তবায়নে জেলকোডের বাধ্যবাধকতা না থাকায় যেকোনোভাবেই (ফায়ারিং স্কোয়াড বা ফাঁসি) রায় কার্যকর করতে পারে সরকার। তবে, এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি যেভাবে কার্যকর (ফাঁসি) করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও সেটি করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ না করে যত শিগগিরই সম্ভব আইন অনুযায়ী তা করা হবে বলেও জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই