পুষ্টিগুণে পেয়ারাই সেরা

পুষ্টিগুণে ভরা দেশি এবং সহজলভ্য ফল পেয়ারা। বর্ষা ঋতুতে যার দেখা মেলে সবচেয়ে বেশি। তবে অন্যান্য ঋতুতেও কমবেশি বাজারে পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশে বর্তমানে এর বাণিজ্যিক চাষ হওয়ায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্ষা ঋতু হওয়ায় বর্তমানে বাজারে প্রচুর পেয়ারা সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। আসুন জেনে নেয়া যাক, হাতের কাছে পাওয়া এই ফলের রোগ প্রতিরোধে বিস্ময়কর গুণ সম্পর্কে।

পেয়ারায় আছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ, ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ। আমরা এখনো ভাবি কমলা, মালটা, আপেল, আঙুর, নাশপাতিই ভিটামিনের উত্তম উৎস। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনা করলে পেয়ারার কাছে এসব ফল কিছুই না।

প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারা থেকে আমরা পেতে পারি ২০০মিলিগ্রাম ভিটামনি সি, যা কমলা থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি। খোসাসহ খাওয়ায় পেয়ারা থেকে প্রচুর ভিটামিন সি পেতে পারি। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট, সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট।

পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। পেয়ারার পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রয়েছে ভেষজগুণও। যেমন শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ঠাণ্ডাজনিত হাঁচি-কাশি প্রতিরোধে পেয়ারা খুবই উপকারী। এছাড়া খিঁচুনি ও এপিলেপসি প্রতিকারে পেয়ারা সহায়তা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও মুখের রুচি বাড়াতে পেয়ারা খুবই উপকারী। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন ও খাদ্যআঁশ, যা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারার পাতা চিবালে ব্যথা কমে যায়। এছাড়া ক্ষতে পেয়ারা পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ক্ষত সেরে যায়। গাছের বাকল ও শেকড় আমাশয় ও কলেরার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধেও পেয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বর্তমানে বাজারে যত ফল পাওয়া যায় তার অধিকাংশই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে সংরক্ষিত হয়। ফল কিনতে গেলে থাকতে হয় আতঙ্কে। কিন্তু পেয়ারা এমন একটি ফল যাতে এই বিষ ব্যবহার করার তেমন প্রয়োজনই পড়ে না।

Payara



মন্তব্য চালু নেই