পুলিশ বাহিনীতে নেওয়া হচ্ছে দশ হাজার কনস্টেবল

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে পুরুষ সাড়ে ৮ হাজার এবং দেড় হাজার নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ লাইনসে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার (৬ সেপ্টম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রার্থীদের সকাল ৯টায় নিজ নিজ জেলার পুলিশ লাইনসে শারীরিক মাপ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিকাল ৩টায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। একই দিন বিকাল ৫ টায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

নিয়োগে অংশগ্রহণ প্রার্থীদের সর্বনিম্ন বযস হতে হবে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ২০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য বয়সসীমা ৩২ বছর।প্রার্থীদের অবশ্যই এএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং নূন্যম ২.৫ জিপিএ থাকতে হবে। প্রার্থীদের বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং অবিবাহিত হতে হবে।

নিম্নে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের যোগ্যতাসহ অন্যান্য বিষয়াদি তুলে ধরা হলো-

প্রার্থীর যোগ্যতা :

বয়স : সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩১/০৮/২০১৬ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (০১/০৯/১৯৯৮ হতে ০১/০৯/১৯৯৬ এর মধ্যে জন্ম)।

মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩১/০৮/২০১৬ তারিখে ৩২ বছর হতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫, বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে ও অবিবাহিত হতে হবে।

শারীরিক মাপ : সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।

নারী প্রার্থীদের সকল কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।

শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে সঙ্গে যা যা আনতে হবে-

১। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি।

২। ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটিকরপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি।

৩। প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয়পত্রের মূল কপি)।

৪। সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।

৫। পরীক্ষার ফি ১০০/-(একশত) টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

৬। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।

৭। পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি।

৮। আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২ দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি :

নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ০১.৩০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে(নূন্যতম ৪৫% মার্ক প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

নির্বাচন পদ্ধতি :

লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে।

প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা :

প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৫০০/-টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।

নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধাদি :

১। প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড (৯০০০-২১৮০০/-) টাকা ও অন্যান্য বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে।

২। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী, ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ রেশন সামগ্রী স্বল্পমূল্যে প্রাপ্য হবে।



মন্তব্য চালু নেই