পুলিশের সামনেই আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সিলেট: বিয়ানীবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। পুলিশেই সামনেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের পূর্ব আলীনগর গ্রামে। এ ঘটনায় নারীসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আব্দুস ছত্তার মাহতাব (৪৬) আলীনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমি নিয়ে মাহতাবের সঙ্গে বিরোধ চলছিল প্রতিবেশী সুমন ও রুবেল গংদের। দুপুরে জমি চাষ করতে যান মাহতাব। আগে থেকেই সেখানে প্রস্তুতি নিয়ে ছিল সুমন ও রুবেল গংরা।

সুমনের সংবাদের ভিত্তিতেই চারখাই পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সকাল থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পুলিশের উপস্থিতি দেখে জমি থেকে উঠে আসেন মাহতাব।

এসময় তার সাথে সুমন ও রুবেলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই সুমন ও রুবেল ধারালো দা দিয়ে মাহতাবের উপর হামলা চালায়। উপর্যুপরি দায়ের কোপে রক্তাক্ত মাহতাব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশ ওই সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সুমন ও রুবেল বাড়িতে আশ্রয় নিলে পুলিশ ও এলাকাবাসী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই দু’জনসহ ৮ জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- পূর্ব আলীনগর গ্রামের আব্দুল মুমিত সুমন (৩০), আব্দুল মুমিন লিমন (৩২) ও রাজন (২৮) তারা মৃত সিকই মিয়ার ছেলে। তুতাই মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ (২৪), মৃত ছিদ্দিক আলীর ছেলে ফাত্তাহ (৫৫), মৃত অলিউর রহমান চৌধুরীর ছেলে রায়হানুর রেজা চৌধুরী (৩৮) ও মৃত খদর আলীর ছেলে শাকিল (৩৫)।

এদিকে, বুধবার বিকেলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশের সামনে কুপিয়ে হত্যা করার প্রসঙ্গ তুলতেই ফোনকল কেটে দেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই