পুলিশের বন্দুকে গুলি ছিল না কেন?

পুলিশের বন্দুকে গুলি ছিল না কেন তা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘কাজী জাফর আহমদ নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি’ এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। কাজী জাফর আহমদ নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশের হাতে বন্দুক শোভা পায় কি না- সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জনগণের জীবন রক্ষা করতে নয়, শুধুমাত্র বিএনপির মিছিলে গুলি করার জন্যই কি পুলিশের হাতে বন্দুক দিয়েছেন?’

গত ৪ নভেম্বর সাভারের আশুলিয়ার চেকপোস্টে পুলিশের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে কনস্টেবল মুকুল হোসেন নিহত হয়। আহত হন নূরে আলম নামে আরো একজন পুলিশ সদস্য।

এ প্রসঙ্গে নজরুল বলেন, ‘আমরা দুর্ভাগা জাতি। কারণ পাঁচজন পুলিশের উপর হামলা হলো, কিন্তু তখন পুলিশের বন্দুকে গুলি ছিল না। এতে প্রমাণ হয় সরকারের দুর্বলতা। কারণ তারা যদি নিজেদের রক্ষা করতে না পারে তাহলে জনগণকে কীভাবে রক্ষা করবে? অথচ বিএনপি যখন মিছিল করে তখন তাদের গুলির অভাব হয় না। বিএনপির মিছিলে যেভাবে গুলিবর্ষণ করা হয়, তখন মনে হয় আমরা কোনো হিন্দি সিনেমা দেখছি।’

কাজী জাফরের প্রতি স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মৃত্যুতে আমাদের আন্দোলন দুর্বল হয়েছে। তবে তার স্মৃতি আমাদের শক্তি যোগাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

সভাপতির বক্তব্যে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের উচিৎ হবে রাস্তায় নেমে আসা। জনগণের সাথে কথা বলা। কারণ সরকারকে জনগণের সাথে কথা বলতেই হবে। এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশকে রক্ষা করার জন্য কেবল এটাই একমাত্র পথ আছে।’

এসময় জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল রহমান ইরান, বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই