পুলিশবেষ্টিত হয়ে ঈদ জামাতে এরশাদ

রংপুরে নিজ এলাকায় নিরাপত্তা পাহারায় ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।

ফাইল ছবি ফাইল ছবি দলের দায়িত্ব থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া জাতীয় পার্টির নেতা ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা এরশাদকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ভাই ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের।
একারণেই ঈদের জামাতে অংশ নিতে এরশাদ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুরের কালেক্টরেট মাঠে র‌্যাব ও পুলিশ স্কোয়াড পরিবেষ্টিত হয়ে ঈদের নামাজে অংশ নেন এরশাদ, সঙ্গে ছিলেন ভাই জিএম কাদের।

নামাজের পর দুই ভাই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

র‌্যাব ও পুলিশ পাহারার বিষয়ে জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল আমাকে রাঙা ফোন দিয়ে বলল, ভাই (এরশাদ) যেন ঈদের জামায়াতে না যায়; তার বিপদ হতে পারে।

“জবাবে আমি বলেছি, তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছ রাঙা। ভাই তো অন্যায় কিছু বলেন নি। তিনি শুধু বলেছেন মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিরোধী দলীয় ভূমিকা পালন করতে।”

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে মসিউর রহমান রাঙা আওয়ার নিউজবিডি ডট কমকে বলেন, “ স্যারকে (এরশাদ হুমকি দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আমার দলের চেয়ারম্যান এবং আমার আত্মীয়।

“আমি শুধু বলেছিলাম, যেহেতু কিছু দিন আগে এখানে একটা গণ্ডগোল হয়েছে, তাই তিনি যেন একটু সাবধানে চলাফেরা করেন।”

এবিষয়ে নামাজের পর এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, “রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্গ। আমি কাউকে ভয় পাই না। রংপুরের মানুষ আমার কোনো ক্ষতি করবে না। তারা আমার পাশেই আছে।”

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ফোরাম থেকে সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা এবং সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে অব্যাহতি দেন এরশাদ। পাশাপাশি রাঙার নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা ও মাহনগর কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করেন তিনি।

এরপর থেকেই রংপুরে রাঙার সমর্থক এবং নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে রংপুরে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসে যেতে পারেননি এরশাদ।

ঈদ জামাতে উপস্থিত জাপার একাধিক নেতা জানানন, একই সঙ্গে জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করলেও এরশাদের সঙ্গে দেখা করেননি রাঙা।

এবিষয়ে এরশাদ বলেন, “রাঙা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।”

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি সংলাপ চাচ্ছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আলোচনা করতেই হবে। আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।”



মন্তব্য চালু নেই