পুরুষের অনুমতি ছাড়া অচল সৌদি মহিলারা!‌

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান সমাজ নিয়ে নানা রকম কথা শোনা যায়। এবার সৌদি আরবের নারী–জীবন নিয়েই আশ্চর্য গল্প শোনালেন সে দেশের মহিলারা। এই বছর প্রথমবারের জন্য সৌদির নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন মহিলারা। সেই ঘটনাকে মাথায় রেখেই, সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়।

বলা হয় সৌদি আরবের মহিলারা নিজেদের জীবনের গল্প সংক্ষেপে টুইটার কিম্বা ই–মেলে পাঠিয়ে দিন। ঘোষণার পরেই উপচে পড়ে ইন্টারনেট বার্তা, এক একজনের এক রকম গল্প। তবে সবটা থেকে এটা পরিষ্কার, সৌদিতে সমাজ কেবল মাত্র পুরুষ প্রধানই নয়, নারী অধিকার বর্জিত।

সকলেই বলছেন, পরিবারের পুরুষ কর্তা, সেটা স্বামী, দাদা, বাবা, এমনকি ছেলেও হতে পারেন, তাদের অনুমতি ছাড়া সমাজে একপাও চলার উপায় নেই। সামান্য বাড়ির বাইরে যেতেও লাগে অনুমতি। সেই প্রতক্ষ্য অভিজ্ঞতারই কিছু উদাহরণ প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

‘‌টিপিকাল সৌদি গার্ল’‌ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, ‘‌আমাকে বার বার (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করত আমার বাবা। সেই জন্য আমি বাড়ি থেকে পালাই। তারপর সোজা যাই মানবাধিকার সংগঠনের কাছে। সেখানে আমাকে বলা হয়। কিছু করা সম্ভব নয়। তারপর যাই পুলিশের কাছে। ততক্ষণে আমার বাবা পুলিশকে সবটা জানিয়ে রেখেছে। পুলিশ আমাকে বলা, বাড়ি থেকে পালিয়ে নাকি আমি ভয়ানক অপরাধ করেছি। বলে আমাকে জেলে বন্দি করে। কয়েকদিন আটকে রেখে ফের আমায় বাবার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’‌

রুলা নামে একজন লিখেছেন, ‘‌একটি দূর্ঘটনায় আমি আহত হই, প্রচুর রক্ত পড়েছিল তখন। বিপুল রক্তপাতের পরেও আমাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমার স্বামী আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর একটু হলে আমি মরেই যেতাম।’‌ আজকাল



মন্তব্য চালু নেই