পুতিনকে এরদোয়ানের ফোন: পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করতে রাষ্ট্রদূত হত্যা

তুরস্কে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভ নিহতের ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
সোমবার সন্ধ্যায় একটি আর্ট গ্যালারি পরিদর্শনের সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন আন্দ্রেই কারলভ। এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুতিনকে ফোন করেন এরদোয়ান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির খবরে দুই নেতার কথোপকথনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ফোনে রুশ প্রেসিডেন্টকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত করেন রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।

স্পুটনিকের খবরে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ডকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।

ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিভাবে তাকে গুলি করে হত্যার পর চিৎকার করতে থাকে খুনি।

‘তুর্কিদের চোখে রাশিয়া’ শিরোনামের প্রদর্শনীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় কারলভকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। কারলভকে গুলির পর গ্যালারিতে বন্দুকযুদ্ধ চলে কিছুক্ষণ। হামলাকারী ছিল স্যুট পরিহিত সুদর্শন এক যুবক। সে হাতে রিভলবার নিয়ে চিৎকার করতে থাকে। বলতে থাকে ‘আল্লাহ আকবর’; ‘আলেপ্পোর কথা ভুলে যেও না’।

বিবিসি জানিয়েছে, হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সিরিয়ায় রুশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভের একদিন পরই এ হামলার ঘটনা ঘটল।

হামলায় আহত আরও তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উপস্থিত হয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু।

সিএনএন তুর্কিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারী একাই ছিল। হামলাকারীকে ‘আমি এখান থেকে জীবিত ফিরব না’ বলতে শুনেছেন তিনি। রাষ্ট্রদূতকে গুলি করার পর হামলাকারী সিরিয়ার আলেপ্পোর পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে। হামলাকারী রুশ রাষ্ট্রদূতকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালিয়েছে।

হামলার মোটিভ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। হামলাকারীর নামও প্রকাশ করা হয়নি এখন পর্যন্ত। বিবিসির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়ে হামলাকারী গ্যালারিতে প্রবেশ করে বলে শোনা যাচ্ছে।

২০১৩ সাল থেকে আন্দ্রেই কারলভ তুরস্কে রুশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।



মন্তব্য চালু নেই