পিয়ন পদে পিএইচডিধারীরাও!

সচিবালয় প্রশাসনে ৩৬৮টি পিয়ন পদে নিয়োগ হবে। এর বিপরীতে জমা পড়েছে ২৩ লাখেরও বেশি আবেদন। আশ্চর্য হচ্ছেন? আপনার এ আশ্চর্য আরো বেড়ে যাবে। কারণ পিয়ন পদের ২৫৫ জন আবেদনকারীই ছিলেন পিএইচডি ডিগ্রিধারী। আর মাস্টার্স পাস রয়েছেন আরো ২৫ হাজারেরও বেশি। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের ডক্টরেট ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করেছেন ওই পদে চাকরি করতে চেয়ে।

সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি দেয়া এ চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল শুধুই মাধ্যমিক পাস। সেইসঙ্গে জানতে হবে সাইকেল চালানোটা। চাকরির জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না।

আবেদনের এ অবস্থা দেখে খোদ নিয়োগকর্তাদেরই চক্ষু চড়কগাছ! এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ আবেদনপত্র নিয়ে কী করণীয় তা জানতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। এত সংখ্যক আবেদনকারীর ইন্টারভিউ নিতে গেলে চার বছর সময় লেগে যাবে।

সম্প্রতি ভারতের লক্ষ্ণৌ সচিবালয় প্রশাসনের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদন পর্যালোচনা করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সচিব প্রভাত মিত্তাল জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের সারা পেয়ে অভিভূত।

এ বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের বক্তব্য, কোনো কাজই ছোটো নয়। এই কাজে ন্যূনতম বেতন ১৬ হাজার টাকা। তার পাশাপাশি রয়েছে নানা সরকারি সুবিধা। আর তাই বেকার থাকার থেকে পিয়নের কাজ করা ভালো।

রেখা বর্মা নামে এক চাকরিপ্রার্থী ইন্ডিয়া টাইমসকে জানান, অন্যের ওপর নির্ভারশীল থাকার চেয়ে কর্মকর্তাদের টেবিলে পানি দেয়ার কাজ করাও ভালো।



মন্তব্য চালু নেই