কলারোয়া (সাতক্ষীরা) কিছু খবর

পিডিবিএফ সোলারের আলোয় আলোকিত কলারোয়ার পল্লী

দারিদ্র্য ও অসুবিধা গ্রস্থ ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও কানাডিয়ান সিডা কর্তৃক ১৯৮৪ সাল হতে পরিচালিত আরপিপি, আরডি-১২ প্রকল্প এবং পল্লীর বিত্তহীন প্রতিষ্ঠান প্রকল্পকে ১৯৯৯ সালের ৭ই নভেম্বর মহান জাতীয় সংসদে ২৩নং আইনের মাধ্যমে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসাবে “পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন” (পিডিবিএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়। পিডিবিএফ সরকার কর্তৃক আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।

এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিগত ০৯ জুলাই, ২০০০ সালে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। পিডিবিএফ পল্লী অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে কার্যকরী কল্যাণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান, সোলার কর্মসূচী এবং নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বায়ু মন্ডলে কার্বন নিঃস্বরনের ভয়াবহতা ও তীব্রতা রোধকল্পে এবং বাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পিডিবিএফ ২০০৬ সালে সৌরশক্তি প্রকল্প কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশের প্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ জীবান্ত জ্বালানীর উপর নির্ভরশীল, যা দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এই উপলব্ধিতে দরিদ্র জনগণের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পিডিবিএফ সৌর বিদ্যুৎ প্রদান করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। পিডিবিএফ এর নিজস্ব সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং ওউঈঙখ (ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড, ইহা বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক শাখার অধীনে পরিচালিত নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান) এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় সৌরশক্তি প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সরকারের ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে “সবার জন্য বিদ্যুৎ” সুবিধা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০১৩ ইং সালের মে মাস থেকে উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তার কার্যালয়, পিডিবিএফ, কলারোয়া কার্যালয়ে এ পর্যন্ত ১২টি ইউনিয়নে ১৫০টি গ্রাম ও মহল্লায় ১শ’৫৩টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করে, যার প্রায় ০৩ (তিন) হাজার জনগোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষভাবে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করছে। যা দৈনিক গড়ে ১০.২০ কিলোওয়ার্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পিডিবিএফ কলারোয়া, কার্যালয় দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তাছাড়া পিডিবিএফ এর নিজস্ব সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং ওউঈঙখ এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় সৌরশক্তি প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইউনিয়নের তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে সোলার সিস্টেম স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩২০৮ (তিন হাজার দুইশত আট)টি ইউনিয়নে তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হবে। যার কার্যক্রম ইতিমধ্যে কলারোয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচনা কর্মকর্তা, পিডিবিএফ, কলারোয়া মোঃ মুনকাছিম বিল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- পল্লীর দরিদ্র জনগণের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনা করে সকল প্রকার সোলার সামগ্রী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে নগদ ও সর্বচ্চো ০৩ (তিন) বছরের কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য, টেকসই ও গুনাগত সম্পন্ন, প্যানেল ২০ বছরের, ব্যাটারী ০৫ বছরের ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ০৩ বছরের গ্যারান্টিযুক্ত এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল দ্বারা সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সোলার কার্যক্রমের সফলতা অর্জিত হচ্ছে। ফলে ক্রমান্বয়ে এর ব্যাপকতা ও পরিধি বিস্তারের মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কলারোয়ার সকল পল্লীতে সৌর বিদ্যুৎ কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন-বাজারের নিম্নমানের সোলারের বিষয়ে জনসাধারণকে প্রতারিত হওয়া হতে সতর্ক থাকার জন্য উদাত্ত ও আন্তরিক আহব্বান জানান।

 

কলারোয়ায় মোবাইল কোর্টে এক ইটভাটা ও দুই দোকান মালিককে জরিমান
কলারোয়ায় মোবাইল কোর্টে এক ইটভাটা ও দুই দোকান মালিককে ১২হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ কুমার তালুকদার এ মোবাইল কোট পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে উপজেলার হেলাতলার আলী ব্রিকস হাওয়াভাটায় কাঠ মজুত ও পোড়ানোর অভিযোগে ম্যানেজার হুমায়ন কবিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও একই সময় উপজেলার ব্রজবাকসা বাজারে মেয়াদ উত্তের্ণ ওষুধ রাখার দায়ে মেসার্স শাওলী ফার্মেসীর মালিক বাবলুর রহমানকে ২ হাজার টাকা ও একই বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরে মেয়াদ উত্তের্ণ ভৈজ্যতেল রাখার অপরাধে ওই দোকান মালিক আঃ রহিমকে ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করেন।

মোবাইল কোট পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন,কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম,উপজেলা নির্বাহী অফিসের বেঞ্জসহকারী এমএ মান্নান,সাংবাদিক জুলফিকার আলী ও কলারোয়া থানার এসআই শুব্রত প্রমুখ।

 

কলারোয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
কলারোয়ায় ভারপ্রাপ্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান নিজেকে নিদোর্ষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল রোববার সকালে কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনটি করেন উপজেলার ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী আহম্মাদ কোন কারণ ছাড়াই তাকে হয়রানী করার জন্য মাহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।

যার নং-৫২১৮/১৪। এই মামলায় হাইকোর্ট গত ১৯/০৯/১৪ তারিখে একটি আদেশে প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ ৬মাসের বর্ধিত স্থাগিত আদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিভিল মামলা দায়ের করেন। পরে হাইকোর্টের এক আদেশে ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলামকে ওই ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। এই আদেশের পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদার ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলামকে লিখিত ভাবে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য পত্র প্রদান করেন। সে অনুযায়ী তিনি ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখালে কোন প্রকার হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা হয়নী। একটি চক্র মিথ্যা বানোয়ার্ট-ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক ভাবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে তাকে এবং তার ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম নষ্ট করে চলেছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জনান। সেই সাথে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই