পিঠে ব্যথায় যে ৭ টি কাজ একেবারেই করবেন না

পিঠে ব্যথা ব্যাক পেইন হওয়ার মূল একটি কারণ হল একটানা বসে থাকা। আমরা বেশিরভাগ সময়ে অফিসের কাজে বা অন্য কোনো কারণে একটানা চেয়ারে বসে থাকি। যার ফলাফল পিঠে মারাত্মক ব্যথা। আসুন জেনে নিই পিঠে ব্যথা থাকলে বা পিঠে ব্যথার হাত থেকে রক্ষা পেতে যে কাজগুলো একেবারেই করা উচিৎ নয়।

১. ভুল পদ্ধতিতে বসা :
আমরা অনেক সময় বসে থাকি ঠিকই যা একেবারে ভুল পদ্ধতিতে বসে থাকি। আমরা যদি সঠিক পদ্ধতিতে বসে থাকি তাহলে এই পিঠে ব্যথার সমস্যাটি হয় না। এমনভাবে বসা উচিৎ না যেটি আমাদের দেহের বিভিন্ন জয়েন্টগুলোতে চাপ প্রয়োগ করে। এই চাপের কারণেই পিঠে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আমাদের উচিৎ সঠিক পদ্ধতিতে বসার নিয়মটি জেনে নেয়া এবং তা অনুসরণ করে বসা।

২. শারীরিক ব্যায়াম না করা :
শারীরিক ব্যায়াম পেশী গঠন করে, দেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে, গোড়ায় গোড়ায় ব্যথা নিরসন করে। এই শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত না করাও পিঠে ব্যথার সৃষ্টি করে। আমাদের উচিৎ পিঠে ব্যথার থেকে শরীরকে রক্ষার্থে প্রতিদিন নিয়ম করে শারীরিক ব্যায়াম করা।

৩. একেবারে নির্মূল করার চিন্তা :
পিঠে ব্যথা এমন একটি অসুখ যা কখনই একেবারেই নির্মূল হয় না। এই ব্যথা একবার হলে তা সারাজীবনই থেকে যায় তবে শারীরিক ব্যায়াম আর নিয়মের ফলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু অনেকেই চেয়ে থাকেন একে একেবারেই নির্মূল করে ফেলতে। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধও খেয়ে থাকেন অনেকে। যার ফলাফল কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না।

৪. ভারী কিছু বহন করা :
ভারী কিছু বহনে এই ব্যথা আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। এর ফলে পেশী এবং হাড়ের জয়েন্টে চাপ পড়ে এবং ব্যথা বাড়ে। এ কারণে পিঠে ব্যথায় এই কাজটি একেবারেই উচিৎ না।

৫. অন্যান্যদের ব্যথার কথা শোনা :
এটি অনেকটা মনোরোগের মত। আপনি যদি কারও কাছ থেকে শোনেন তার অসহনীয় ব্যথার কথা তাহলে আপনারও ব্যথা বেড়ে যাবে। এটি হয়ে থাকে চিন্তার কারণে। তাই যতটা সম্ভব অন্যের ব্যথার করুণ কাহিনী শোনা থেকে বিরত থাকুন।

৬. ধূমপান করা :
আপনি যদি ধূমপান করেন তবে তা আপনার স্বাস্থ্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে ধূমপানের ফলে লো পিঠে ব্যথার সমস্যাও দেখা দিয়ে থাকে। তাই ধূমপান করুন এবং সুস্থ থাকুন।

৭. ডাক্তারের শরণাপন্ন না হওয়া :
অনেকেই ব্যথা ওঠার অপেক্ষায় থাকেন যে যখন ব্যথা উঠবে ঠিক তখনই ডাক্তারের কাছে যাবেন। কিন্তু এমনটি করা একেবারেই উচিৎ না। আপনি জানেন যে আপনার পিঠে ব্যথার সমস্যা আছে এবং তা মাঝে মাঝেই আপনাকে অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় শুরু থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।



মন্তব্য চালু নেই