পিএসসি-২০১২ অনুসারেই সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান

সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের চলমান প্রক্রিয়া বর্তমানের মডেল উৎপাদন-বণ্টন চুক্তিপত্র (পিএসসি) ২০১২ অনুসারেই হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বর্তমান পিএসসি অনুযায়ী হবে। চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা গ্যাসের দাম আপাতত বাড়ানো হবে না। প্রয়োজন হলে ২০১৭ বা ১৮ সালের দিকে এটা পর্যালোচানা করা হবে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সেকে আরো শক্তিশালী করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে বিশ্বের উন্নত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করবে বাপেক্স।’

গ্যাস সংযোগ প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামীতে আবাসিক খাতে কোনো গ্যাস সংযোগ না দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া শিল্পকারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত জেনারেটরের পাইপ লাইনের গ্যাস দেওয়া হবে না। কেবলমাত্র পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্পাঞ্চলেই গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে প্রস্তুত বা নির্মিতব্য কারখানা, যারা সংযোগের জন্য আবেদন করেছে তাদের পর্যায়ক্রমে গ্যাস দেওয়া হবে।’

বিতরণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে গ্রাহকরা এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পেলেও শিগগিরই এ সমস্যা মিটে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সুফল পেতে একটু সময় লাগবে।

এফইআরবির চেয়রাম্যান মোল্লা আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি সচিব আবু বকর সিদ্দিক, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলামসহ এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



মন্তব্য চালু নেই