পিআইবির বিবেচনায় অনলাইন গণমাধ্যম নয়!

‘দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার’ বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সাংবাদিককে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও এসব ক্যাটাগরিতে অনলাইনে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে অনলাইন কি তাহলে গণমাধ্যম নয়। পিআইবির বর্তমান মহাপরিচালক শাহ আলমগীর একজন সাবেক সাংবাদিক নেতা (ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক) হওয়া স্বত্ত্বেও অনলাইনের সাংবাদিকদের আবেদনের সুযোগ না দেয়ায় ক্ষুব্দ অনলাইনে কর্মরত সাংবাদিকরা।

যে পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রতিবেদন, ফিচার ও আলোকচিত্র আহ্বান করা হয়েছে সেগুলো হলো জাতীয় সংবাদপত্র (ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্র), আঞ্চলিক সংবাদপত্র (ঢাকা ব্যতীত দেশের যেকোনো অঞ্চলের বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্র), টেলিভিশনের ক্ষেত্রে (দেশীয় চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন ও টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের জন্য ক্যামেরাপারসন) ও পত্রিকায় প্রকাশিত আলোকচিত্র (ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত আলোকচিত্র)।

আলোকচিত্র/প্রতিবেদন/ফিচার ২০১৫ সালের ১ মে থেকে ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশিত ও প্রচারিত হতে হবে। পিআইবি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের যৌথ উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো অপারেশনের সহযোগিতায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার’ প্রবর্তন করে।

এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন জার্মানির ডয়েচে ভেলে আয়োজিত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। প্রতিবেদন আগামী ২ মের মধ্যে জমা দিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই