পায়রা বন্দর স্থাপনে মহাপরিকল্পনা করবে ব্রিটিশ কোম্পানি

দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্রবন্দর স্থাপনে কারিগরি পরামর্শ, অর্থনৈতিক সমীক্ষা যাচাই এবং ধারণাগত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে যুক্তরাজ্যের ওয়েলিংফোর্ড কোম্পানি।

বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোম্পানি ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি পায়রা বন্দর স্থাপনে পরামর্শক নিয়োগসংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। পরে মঙ্গলবার ১৩ জানুয়ারি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঢাকা কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের কোম্পানি ওয়েলিংফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। যা বুধবার নৌ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জানান, আন্তর্জাতিক মানের বন্দরের সুবিধা সৃষ্টি করে বন্দর ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ জাহাজ চলাচল এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অনগ্রসর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে এ বন্দর করা হচ্ছে। যা ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর জাতীয় সংসদে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩’ পাস হয়। একই বছরের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধন করেন।

ইতিমধ্যে পায়রা বন্দরের কাজ শুরু করার লক্ষ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে পণ্য ওঠানো-নামানো করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

বন্দর স্থাপন হলে দেশের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের অর্থনৈতিক-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে বলে প্রকল্পের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই