পাহাড় থেকে ২০০ পরিবার উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম নগরীর বাটালি হিল ও মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী দুই শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন ও নগর পুলিশ।

টানা ভারি বর্ষণে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ের মাটি ধসের ঘটনায় প্রশাসন এ তৎপরতা শুরু করে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে নগরীর টাইগারপাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব এসএম আব্দুল কাদের বলেন, ‘কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজানের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ১১টি পাহাড় থেকে ৬৬৬টি পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে আজকে বাটালি হিল ও মতিঝর্ণা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী দুই শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’

এছাড়াও ঢেবার পাড়, পোড়া কলোনি এবং বায়েজিদ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের নিচে ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চিহ্নিত ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরত বাসিন্দাদের উচ্ছেদে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বর্ষা এলেই চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষেরা মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ে। ২০০৭ সালের ১১ জুন স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে ১২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১০ সালেও বেশ কয়েকটি পাহাড় ধসে প্রানহানির ঘটনা ঘটেছে। এতে অনন্ত ৩০ জনের অধিক মানুষ মারা যায়। গত ১৫ বছরে এর সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। তারপরও মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে লক্ষাধিক মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে।



মন্তব্য চালু নেই