পাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

বিদ্যুতের দাবিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের ঘটনায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের এক জরুরী সভায় সকালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আবাসিক শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাসে আগুন দেয়। শিক্ষার্থীরা হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা লোডশেডিংয়ের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বার বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও এর কোনো সুরাহা হয়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিষয়গুলোই ইঞ্জিনিয়ারিং। আমাদের লেখাপড়ার চাপ অনেক। অথচ বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে পড়ালেখা ঠিক মতো করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কর্মসূচিতে গিয়েছি।

এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে আমরা পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে বার বার বৈঠক করেছি। তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের সম্পদ কেন নষ্ট করল তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে সকল ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই