আ.লীগকর্মীসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা

পাবনা ও মাদারীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন কর্মী ও শিক্ষকসহ পাঁচজন।

শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে একই সময়ে পৃথকভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

পাবনায় নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীরা হলেন ফজলু (৩৫), সালাম (৩৬) ও সুলতান (৩৮)। মাদারীপুরের নিহত আবুল বাশার (৫০) রাজৈর উপজেলার সরমঙ্গল মহিলা আলিম মাদরাসার শিক্ষক ও অপর এক পথচারী।

এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরো দুইজনকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

পাবনা: পাবনা সদরের পুষ্পপাড়ায় রাত পৌনে ৯টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিন কর্মী ফজলু (৩৫), সালাম (৩৬) ও সুলতান (৩৮) নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো দুইজন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ কর্মী ফজলু, সালাম আর সুলতান পুষ্পপাড়া বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ৫/৭ জনের একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত সেখানে এসে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

বর্তমানে পুষ্পপাড়া বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্তি পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।
স্থানীয়দের ধারণা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।

আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। হত্যার সঠিক কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে, আ.লীগের তিন কর্মী নিহত হওয়ার পরে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাত সাড়ে ৯ টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত উল্লেখ করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

মাদারীপুর: রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের সরমঙ্গল এলাকায় মাদরাসা শিক্ষক আবুল বাশারসহ অপর এক পথচারীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ‍দুর্বৃত্তরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার ফরিদুল ইসলাম জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষে শিক্ষক আবুল বাশার বাইরে বের হয়ে আসছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই