পাবনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার তদন্তের নির্দেশ

পাবনার ঈশ্বরদী জি.আর.পি থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও এস.আই ইসমাইল হাওলাদারের বিরুদ্ধে অবহেলা, গাফিলতি ও পক্ষপাত মুলক আচরনের অভিযোগে গত ১৮ মে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক মঞ্জুর মোরশেদ খান রিয়েন এর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর আলম সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানকে এ নির্দেশ দেন। রিয়েন জানান প্লাটফর্মে ট্রেন না দাঁড় করানোর ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর ২০১৪ ইং তারিখ তিনি ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে গুরুতর আহত হন।

পরবর্তীতে তাঁর বাবা জেম খান বাদী হয়ে পাবনা-২ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে রেলের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলা ঈশ্বরদী জিআরপি থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও শুরুতে মামলাটি তদন্তে নানা অজুহাত দেখায় জিআরপি থানার ওসি হুমায়ুন কবির।

একপর্যায়ে জিআরপি থানার এসআই ইসমাঈল হাওলাদার মামলাটি তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ছয়জন স¦াক্ষীর মধ্যে তিনজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করে তরিঘরি করে আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দেন জিআরপি থানা পুলিশ। প্রতিবেদনটি সম্পর্কে রিয়েন অভিযোগ করে বলেন পুলিশ ঘটনাটি নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত না করে রেল কর্মকর্তাদের পক্ষে সম্পূর্ণ একপেশে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। একারনেই তিনি এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) নিকট অভিযোগ করেন।

পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি আমলে নিয়ে জিআরপি থানার ওসি ও এসআই ইসমাঈল হাওলাদারের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে মামলার বাদী সাংবাদিক রিয়েন এর বাবা আদালতের নিকট মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেছেন। রিয়েন ও তাঁর বাবা জেম খান অনুরোধ করেন ন্যায়বিচার ও যাত্রী অধিকারের স্বার্থে সকলে যেন নিরপেক্ষ থাকেন।



মন্তব্য চালু নেই