পানির ফিল্টার সম্পর্কে জরুরি কিছু বিষয়

সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য খাবার পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। অসাবধানতায় পানিবাহিত নানা রোগে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা কিন্তু কম নয়। বর্তমানে অনেক বাড়িতে বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তায় ফিল্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্রেও পানি ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। তাই নিঃসন্দেহে পানির ফিল্টারের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আর সেজন্য বেছে নেয়া দরকার উপযুক্ত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি ফিল্টার। যেমন-

মডেল

হাজার রকমের মডেলে পানির ফিল্টার দেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সাধারণ মানের ফিল্টারও নিতে পারেন। আবার আরেকটু সুবিধা চাইলে বাড়ির পানির লাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকে এমন একটি ফিল্টার-ব্যবস্থা লাগিয়ে নিতে পারেন।

ফিল্টার স্তর

এই ফিল্টার পানির সব ময়লা-জীবাণু দূর করেত পারে না। পানির আর্সেনিক, হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম ইত্যাদি দূর করতে হলে রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতির ফিল্টার বেছে নিতে হবে। এটা পানি বিশুদ্ধকরণের এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে দূষিত পানিও নিরাপদ করে তোলে। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি চাইলে মূল্য দিয়ে এই পদ্ধতির ফিল্টার-ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।

অ্যালকাইন ফিল্টার

এই ফিল্টারের মূল কাজ পানিকে বিশুদ্ধ করা নয়, বরং পানিতে কিছুটা ক্ষারের পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া। তবে এসব ফিল্টারের সঙ্গে বাড়তি অংশ হিসেবে বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থা থাকলেও থাকতে পারে।

আলট্রাভায়োলেট লাইট ফিল্টার

অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে এই ব্যবস্থা পানির ব্যাকটেরিয়া এবং নানা জীবাণুকে মেরে ফেলে। কিন্তু তারা কিছু পরিষ্কার করে না। এতে জীবাণুমুক্ত পানি খেতে পারবেন। কিন্তু অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানমুক্ত পানি পাবেন না।

শাওয়ার ফিল্টার

বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্গে গোসল করার পানিকেও পরিষ্কার করতে পারবেন। কারণ সুস্থ থাকতে হলে গোসলের পানিও জীবাণুমুক্ত থাকা প্রয়োজন। ব্যবহারের পানিতে অতিমাত্রার ক্লোরিন থাকলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে চুলও পড়ে যায়। তাই একটি শাওয়ার ফিল্টার লাগিয়ে নিতে পারেন।

ফিল্টার পরিবর্তন

ফিল্টার পদ্ধতির ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু সবগুলোর কাজই পানি বিশুদ্ধ করা। তাই একটা সময় পর ফিল্টারের কার্টিজ বদলাতে হবে। পানিতে কেমন ময়লা আসে তার ওপর ভিত্তি করে মূলত কার্টিজ বদলাতে হয়।



মন্তব্য চালু নেই