পাথর বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যা করত ওরা!

অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেলে অপহৃতদের হাত-পা বেঁধে শরীরে পাথর লাগিয়ে নদীতে ফেলে হত্যা করাই ছিল তাদের কাজ। এমন চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

শনিবার ভোররাতে সাভারসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক অপহরণকারী চক্রের দলনেতা আক্তার হোসেন। অন্যরা হলেন বাদশা মিয়া, মনোয়ার হোসেন, লাল মিয়া, শুকুর আলী ও আজগর চৌধুরী। তারা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম শুক্রবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আটক অপরাধীরা অপহরণের পরপর প্রথমে মুঠোফোনে অপহৃতের আকুতি সম্বলিত ছবি ও ভয়েস রেকর্ড করত। পরে অপহরণকারী ওই রেকর্ড করা ছবি ও ভয়েস অপহৃতদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ আদায় করত। আর এর ব্যতিক্রম হলে অপহৃতের শরীরে ভারী বস্তু (পাথর) বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যা করত।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীরা মানিকগঞ্জের মনির হোসেন ও সাভারের মো. মুন্নাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।

থানা পুলিশ জানায়, গত ২৫ আগস্ট মো. মুন্না নামের এক যুবক অপহরণের ঘটনায় সাভার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার ভাই মো. মঞ্জু। এরপর অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামলে গতকাল সাভার ও মানিকগঞ্জের পৃথক দুটি অপহরণের ঘটনায় একই বিকাশ নম্বর দিয়ে অপরাধীদের টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পায় পুলিশ। পরে পৃথক দুটি অপহরণের ঘটনায় মানিকগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও সিঙ্গাইরের ভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই