পাঠ্যবইয়ে নারীদেহ নিয়ে বিতর্কীত লেখায় ভারত জুড়ে হৈচৈ

ভারতে একটি পাঠ্যবইয়ে ‘মেয়েদের বুক-কোমর-নিতম্বের সেরা অনুপাত হচ্ছে ৩৬-২৪-৩৬’ – এমন কথা লেখার অভিযোগ ওঠার পর এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী। খবর বিবিসির।

মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর সাংবাদিকদের কাছে এরকম ‘পুরুষতান্ত্রিক’ মানসিকতার বইয়ের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন – এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠ্যবইটির পাতার ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে।

‘নারীদেহের আদর্শ অনুপাত’ প্রসঙ্গ ছাড়াও বইটিতে আরো বলা হয়েছে, ‘মেয়েদের বস্তিপ্রদেশের হাড় অপেক্ষাকৃত চওড়া’ এবং তাদের দুই হাঁটুর মধ্যেও কিছুটা ফাঁক থাকে। ‘দেহের এ রকম গঠনের জন্য মেয়েরা ঠিকমত দৌড়াতে পারে না’ – লেখা হয়েছে বইটিতে।

প্রকাশ জাভাদেকর বলেছেন, ‘স্কুলে এ বই পড়ানো অবিলম্বে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।’ বইটি ছেপেছে একটি বেসরকারি প্রকাশনী। ভারতের মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এনসিইআরটি-র পাঠ্যসূচি অনুসরণ করে এমন কিছু স্কুলে এটা পড়ানো হচ্ছে বলে জানা যায়।

দিল্লি ভিত্তিক প্রকাশনীটি বলেছে, তারা বইটি ছাপা ও বিতরণ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বেসরকারিভাবে প্রকাশিত বইএর ওপর নজরদারি করতে অক্ষম।

ভারতে পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি পাঠ্যবইয়ে ‘কিভাবে বিড়ালের বাচ্চাকে গলা টিপে মারতে হয়’ – তার বর্ণনা থাকাকে কেন্দ্র করে প্রাণী অধিকারকর্মীরা হৈচৈ তোলেন।

এর আগে মহারাষ্ট্রে এক পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়, ‘কুৎসিত’ এবং ‘বিকলাঙ্গ’ মেয়েদের কারণে যৌতুক নেবার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।

২০১২ সালে একটি পাঠ্যবইয়ে বলা হয়, ‘যারা মাংস খায় তারা অসৎ হয়, খুব সহজেই প্রতারণা করে, মিথ্যে বলে, কথা রাখে না, খারাপ কথা বলে।’

২০১৪ সালে গুজরাট রাজ্যের একটি পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকায় পরমাণু বোমা ফেলেছিল জাপান’।



মন্তব্য চালু নেই