পাকিস্তান প্রমাণ করল সাকা-মুজাহিদ চর ছিলেন

মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা) ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে দেশটির মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী আসমা জাহাঙ্গীর বলেছেন, এই দুজন ছিল পাকিস্তানের রাজনৈতিক চর।

সোমবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় গত রোববার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম।’ ওই বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

asma1448357172
আসমা জাহাঙ্গীর

পাকিস্তানের সামরিক আদালতে বিচার সঠিকভাবে না করে যাদের সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে কিংবা সৌদি আরবে যেসব পাকিস্তানির শিরচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের পরিবর্তে সাকা-মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডে সরকারের প্রতিক্রিয়াকে ‘অসামঞ্জস্যহীন মাত্রাতিরিক্ত আবেগ’ বলে মন্তব্য করেন আসমা জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া লোকজন এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে সঠিক বিচার ছাড়া যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় আশা করব তাদের বিষয়ে ‘সরকার সমান আবেগ দেখাবে।’

সাকা-মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, নিজের নাগরিকদের তুলনায় বাংলাদেশের বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি সরকারের যে অসাধারণ প্রেম রয়েছে এই প্রতিক্রিয়া তারাই বার্তা দিচ্ছে। আসমা জাহাঙ্গীর বলেন, সরকার কেবল এটাই নিশ্চিত করলো যে, এই দুই ব্যক্তি ছিল পাকিস্তানের রাজনৈতিক চর এবং তারা পাকিস্তানের জন্যই কাজ করতো।

প্রসঙ্গত, আসমা জাহাঙ্গীরের বাবা মালিক গোলাম জিলানী ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর তার মুক্তির দাবিতে তৎকালীন স্বৈরশাসক জেনারেল ইয়াহিয়াকে খোলা চিঠি লেখায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই