পাওনা টাকার জন্যই তাইওয়ান দম্পতি হত্যাচেষ্টা : র‍্যাব

পাওনা টাকা পরিশোধ নিয়ে বিরোধের জের ধরেই উত্তরায় বসবাসকারী তাইওয়ানের নাগরিক দম্পতিকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিইও) লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ এসব তথ্য জানান।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা, আশুলিয়া ও গাজীপুর থেকে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় র‍্যাব।

গ্রেপ্তার চারজন হলো গাইবান্ধার মো. সাজু মিয়া (২৮), তার ভাই লাজু মিয়া (৩০), গাজীপুরের এবায়দুল হক স্বপন (২৪) ও ময়মনসিংহের হালিমা বেগম। তাদের মধ্যে সাজুকে উত্তরা থেকে, লাজুকে আশুলিয়া, স্বপনকে গাজীপুরের রূপগঞ্জ থেকে এবং হালিমাকে গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তুহিন মোহাম্মদ জানান, নিজের ব্যবসা পরিচালনার জন্য ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন তাইওয়ান দম্পতি ওয়াং মিং শি ও লোউ লি হোয়া। আসামিদের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ওয়াং মিং শির। টাকা উদ্ধার করতে ডাকাতির পথ বেছে নেয় তারা।

গ্রেপ্তার হালিমার বরাত দিয়ে এই র‍্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনার দেড় বছর আগে তাইওয়ানের এই দম্পতির বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে হালিমাকে পাঠায় রাজু। তার সহায়তায় বাসার গেট ও দরজার চাবি নকল করে গত বছর ৫ নভেম্বর ওই দম্পতির উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টরে চুরি করতে ঢোকে আসামিরা। দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ওয়াং মিং শি বাইরে বের হয়ে এলে আসামি লাজু ও তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে লাজু কাঠের লাঠি দিয়ে ওয়াং মিং শির মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। শব্দ পেয়ে স্ত্রী লোউ লি হোয়া বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁর কাছ থেকে সিন্দুকের চাবি নিয়ে ছয় লাখ টাকা লুট করে আসামিরা। পরে তারা আরো টাকা চাইলে না পেয়ে লোউ লি হোয়ার মাথায়ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল র‍্যাব।

আহত ওই দম্পতিকে প্রথমে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে তাইওয়ানে পাঠানো হয়। আহত ওয়াং মিং শি গত এক বছর ধরে কোমায় রয়েছেন। তাঁকে লাইফসাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই