পাঁচ টাকায় চা-রুটি, শরবত ফ্রি

‘ভাইজানেরা আসেন চা-রুটি খায়া যান। মাত্র ৫ টাকায় পাবেন চা আর রুটি। সঙ্গে শরবত ফ্রি।’ শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুসল্লিদের ঠিক যেন দাওয়াতের ভঙ্গিতে ডাকছে আট বছরের শিশু হালিম। জ্যাকেটের হাতা গুছিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে সেই ভোরবেলায়। তাতে চা-আর রুটির মূল্য লেখা।

বেলা বাড়ছে, বাড়ছে ওর ব্যস্ততাও। হালিম খিলক্ষেত বিশ্বরোডের কাছে এক চায়ের দোকানে কাজ করে। দোকান মালিকের নাম রহমত আলী।

হালিম জানায়, ‘মালিকের নির্দেশ মুসল্লিদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সালাম দিয়ে কথা বলতে হবে। অনেকেই চা-রুটি খেয়েই নাস্তা করছে।’

কথা হয় দোকানদার রহমতের সঙ্গেও। বলেন, ‘সারা বছরই তো ব্যবসা করি। বছরের একটি দিন আল্লহ-রাসূলের পথে ব্যয় করলাম। বলতে পারেন, কেনা দামেই সব বিক্রি করছি। ৫ টাকায় চা আর রুটি খাওয়াতে পেরে নিজের কাছেও ভালো লাগছে। সঙ্গে শরবতও খাওয়াচ্ছি।’

রুটি খেতে খেতেই মিন্টু নামের এক মুসল্লি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সেবার মনোভাব থাকলে কোনো বাধা আটাকায় না। এখান থেকে শিক্ষা নেয়ারও অনেক কিছু রয়েছে।’

রহমতের মতো অনেকেই নামে মাত্র মূল্য নিয়ে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়া মুসল্লিদের মাঝে। অনেকে আবার ফ্রিও খাওয়াচ্ছেন। শরবত-মুড়ি মিলছে বিনামূল্যেই। অনেকে আবার অযুর পানিও সরবরাহ করছেন। এয়ারপোর্ট থেকে তুরাগ তীর যেন সেবা আর ভালোবাসার আশ্রমে রূপ নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই