পহেলা বৈশাখের মোটরসাইকেলে আরোহী ও ব্যাগ বহনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘না’

পহেলা বৈশাখের দিন মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্যকোনো যাত্রী বহন এবং সঙ্গে ব্যাগ না রাখতে ফের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি আরও বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার রমনা বটমূল এলাকা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে পর‌্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীসহ সারাদেশে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

রাজধানীতে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানস্থল রমনার বটমূল। এটি ঘিরে র‌্যাব, পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছেন।

‘সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে বৈশাখ বরণ অনুষ্ঠান পালিত হবে’- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেলচালকদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা আগামীকাল (শুক্রবার) অন্যকোনো যাত্রী বহন করবেন না। কাঁধে কিংবা ঘাড়ে ব্যাগ রাখবেন না। পদে পদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালাবেন। তাদেরকে সহযোগিতা করবেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় কিংবা নির্ধারিত পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে চালকরা অন্যত্র যাবেন না। নিজ নিজ যানবাহনে বসে থাকবেন।’

হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসির পরদিন বাংলা নববর্ষ। নিরাপত্তার ব্যবস্থা কি সে কারণে জোরদার করা হয়েছে, নাকি কোনো হুমকি আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘না কোনো থ্রেট নেই, কোনো ধরনের থ্রেটের আভাসও নেই।’

মন্ত্রী এর আগে বোম ডিসপোজাল ইউনিট (বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দল) এবং ডগ স্কোয়াডের মহড়া দেখেন। এছাড়া দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য দুই চাকার ছোট যান এবং সোয়াট সদস্যদের বিভিন্ন তৎপরতাও পর্যবেক্ষণ করেন।

রমনার বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও পর্যবেক্ষণ করেন মন্ত্রী।

আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই