পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করছে সরকার

দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুদ্ধিষ্ট পর্যটন সার্কিট উন্নয়ন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি প্রচার ও প্রসারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০১৬ হবে ভিজিট বাংলাদেশ ইয়ার।

তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের জন্য অপার সম্ভাবনাময় আমাদের দেশ। পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ইতিমধ্যে এর উন্নয়নে জাতীয় নীতিমালা ২০১০ ঘোষণা করেছি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিশ্ব মানচিত্রে একটি নতুন পর্যটন গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের উপাদানই রয়েছে।

তিনি বলেন, এদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষ্টি, সভ্যতা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের অতিথিপরায়ণতা বিশ্বের যেকোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করে। সেজন্য এদেশের হাওর-বাওড়, পাহাড়, টিলা আর ছায়া সুনিবিড় গ্রামগুলির বৈচিত্র্যময় পর্যটন আকর্ষণে আদিকাল থেকেই ইবনে বতুতার মতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের এদেশে এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে পর্যটনকে ঘিরে আমাদের অর্থনীতি যে বিকশিত হতে পারে তা উপলব্ধি করতে পেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ পর্যটন সংস্থার মহাসচিব মি. তালিব রিফাই, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত ও সাংবাদিকরা।



মন্তব্য চালু নেই