পরিবারের ছোটো সন্তানদের যে ৬ টি যন্ত্রণা পোহাতে হয়

সকলের মতে বাড়ির ছোটো সন্তান হওয়ার মজাই আলাদা। কারণ বাবা-মা বড় ভাই বোনের অনেক বেশি আদর থাকে। এবং প্রত্যেকেই বলেন বাবা মা অনেক বেশি আদরেই ছোটজনকে মাথায় তুলে ফেলেন। কথাটি কিছুটা হলেও সত্য। কিন্তু তারপরও এর আড়ালে ছোটো হওয়ার যন্ত্রণা কিন্তু বেশ ভালো করে সহ্য করতে হয় বাড়ির ছোটো সন্তানকে। অনেকেই ভাবতে পারেন কি এমন যন্ত্রণা? যিনি ঘরের ছোটো তিনি কিন্তু বেশ ভালোই বোঝেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাড়ির ছোটজনের যন্ত্রণা পোহানোর কিছু বিষয়।

১) বাড়ির সবাই আপনাকে ছোটো বোলে আদর করবে ঠিকই কিন্তু ছোটো বলে একেবারে ইমিডিয়েট বড় ভাই/বোনের কাছ থেকে অনেক শাসন সহ্য করে নিতে হবে। এবং বয়সে বড় হয়ে গেলেও বাড়ির ছোটো সন্তানটি কিন্তু সকলের কাছে বেশ ছোটই থাকে। কিছু বলার আগেই শুনতে হয়, ‘তুই, ছোটো মানুষ, চুপ থাক’।

২) বড় ভাইবোনেরা সবসময়েই ছোটজনকে খুঁচিয়ে মজা নেন এই বলে যে, ‘তোমাকে তো আমরা অন্য জায়গা থেকে কুড়িয়ে এনেছি’। কথাটি ভাইবোনের খুনসুটি হলেও ছোটজনেরা কিন্তু মনে মনে কষ্টই পেতে থাকেন।

৩) ছোটো সন্তান হওয়ার আরেকটি যন্ত্রণা হলো ছোটবেলার কোনো সিঙ্গেল ছবি খুঁজে পাওয়া যায় না। বেশীরভাগ ছবিতেই বড় ভাইবোনদের দেখা যায়।

৪) বড় ভাইবোনের ছোটো হয়ে যাওয়া জামা কাপড় এবং খেলনা জন্মসুত্রে ছোটজনের কপালেই জোটে। যদিও সব পরিবারের চিত্র একরকম নয় কিন্তু মোটামোটি অনেক পরিবারেই এই চিত্র নজরে পড়ে।

৫) পরিবারের ছোটোজনকে পাড়া প্রতিবেশী মানুষেরা নাম দিয়ে চেনেন না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই চেনা হয় অমুকের ছোটো ভাই/বোন হিসেবে। অবশ্যই এই বিষয়টি বেশ যন্ত্রণার।

৬) বড় ভাইবোনেরা খুব ভালো হলেও সমস্যা আবার ভালো না হলেও সমস্যা। বড় ভাইবোনেরা ভালো হলে ছোটজনকে আগে থেকেই ভালো হতে হবে, কারণ পরিবারের বড়রা একটি ট্র্যাডিশন গড়ে দিয়েছেন ভালো করার, তখন ছোটজনকে বলা হয়, ‘বড় ভাইবোনদের দেখে শিখ, এবং তাদের মতো ভালো হও’। আর যদি ভালো না হন তাহলে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব কিন্তু ছোটজনের উপরেই বর্তায়, ‘বড়দের মতো উড়নচণ্ডী হয়ে যেও না, একটু ভালো হও’।

সূত্রঃ lifehack.org



মন্তব্য চালু নেই