পরবাসী স্বামীর এইচআইভি রিপোর্ট চাচ্ছে নারীরা!

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফতেহপুর জেলার উদয়সরাই গ্রাম। এখানে দুইশ পরিবারের বাস। কর্মসূত্রে বেশিরভাগ পুরুষই থাকেন মুম্বাই। ভারতে এখন এইচআইভির সংক্রমণ ভয়াবহরকম বেড়ে গেছে। এই আতঙ্ক পৌঁছে গেছে প্রত্যন্ত উদয়সরাই গ্রামেও। এ কারণে মুম্বাই থেকে ফেরা স্বামীদের শুধু পয়সা আনলে হয় না, স্ত্রীদের জন্য তাদের এইচআইভি রিপোর্টটিও আনতে হয়!

ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই গ্রামের ২৫০ জন পুরুষ কর্মসূত্রে মুম্বই বসবাস করে। মাত্র কয়েকটি দিনের ছুটিতে গ্রামে আসেন তারা। ঘরে ফেরার সময় পরিবারের জন্য অর্থ ও উপহার নিয়ে আসেন তারা। সেই সঙ্গে বয়ে আনেন ভয়ঙ্কর এইচআইভি ভাইরাস।

এই রোগের আক্রমণ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন উত্তর প্রদেশের গ্রামীণ নারীরা। শারীরিক সম্পর্ক গড়ার আগে স্বামীকে অবশ্যেই এইচআইভি নেগেটিভ প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে। ইতিমধ্যে স্বামীর কারণে নিজের অজান্তে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন ওই গ্রামের কয়েকজন নারী।

এই উদ্যোগের ফলে মুম্বাইয়ের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে পুরুষদের। এ নিয়ে অবশ্য প্রথমে রাগারাগিও হচ্ছে। কাউন্সেলিং ও বিস্তারিত আলোচনার পর রক্ত পরীক্ষা করাতে রাজি হয়েছে স্বামীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছর আগে আর পাঁচটি গ্রামের মতোই অবস্থা ছিল উদয়সরাইয়ের। অন্য গ্রামের পুরুষদের মতোই এই গ্রামের সমর্থ ছেলেরা কাজের সন্ধানে ঘর ছাড়তে বাধ্য হতেন। কিন্তু ২০০৫ সালের এক সরকারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে হঠাত্‍ জানা যায়, গ্রামের ৫৫ জন বাসিন্দার শরীরে এইচআইভি পজিটিভ। গত ১০ বছরে এ রোগের শিকার হয়ে মারা গেছে ৪৪ জন এবং ১২ জন এখনও এইডসের সঙ্গে লড়ছে।



মন্তব্য চালু নেই