পরকীয়া ও ফোনে মগ্ন স্ত্রী একাই খুন করলেন স্বামীকে!

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে নিহত হাসান ইসলাম সুমন (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ হাসপাতালে ফেলে পালানোর সময় তার স্ত্রী সায়মা সুমনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।– যুগান্তর।

শুক্রবার ভোরে শহরের ৩০০শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করা হয়।

এসময় হাসান ইসলাম সুমনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহরের ভিক্টরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে পুলিশ।

নিহত হাসান ইসলাম সুমন ফতুল্লার নন্দলালপুর কবরস্থান রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

স্ত্রী সায়মা সুমনের দাবী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় দিকে তার মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে।

এনিয়ে সুমন তাকে সন্দেহ করে এবং বাগবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এসময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সায়মা তার স্বামী সুমনের পিঠে কয়েকটি তিনি ছুড়িকাঘাতে করেন। তখন সুমন মাটিতে ঢলে পরেন।

এরপর তাকে একটি রিকশায় করে রাত ২টায় শহরের ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল মান্নান জানান, সুমনের পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই নূরে আলম কামাল জানান, ফতুল্লার দেওভোগ আখড়া এলাকার সোবহানের মেয়ে সায়মাকে ১০ বছর আগে বিয়ে করে সুমন। তাদের ৫ বছরের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই সংসারে নানা অশান্তি লাগিয়ে আসছে সায়মা।

সে আমার বৃদ্ধ মাকেও সহ্য করতে পারে না। এতে যৌথ পরিবার থেকে তাদের ভিন্ন করে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, তারা ভিন্ন হওয়ার পর থেকে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে তাদের স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া আরও বেশি হতো। কারণ সায়মা অপরিচিত লোকজনদের সঙ্গে মোবাইলে যখন তখন কথা বলতো।

স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সুমন মোবাইল ব্যবহার করতে সায়মাকে বাধা দেয়। এতে সায়মা উল্টো সুমনকে প্রায় সময় মারধর করতো। সুমন বাড়ির পাশে ছবি তোলার স্টুডিউও দিয়ে ব্যবসা করতো।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মজিবুর রহমান জানান, এক হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আরেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই