পরকীয়া থেকে আটকানোর ৭ উপায়

অধিকাংশ মহিলাদের মনেই নিজের বয়ফ্রেন্ড কিংবা স্বামীকে হারানোর ভয় কাজ করে। ভাবেন যদি সে অন্য কারো হয়ে যায়। মেয়েরা এই ভয়টা বেশি পান কারণ পুরুষেরা সহজেই পরকীয়ার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। অনেক পুরুষেরই স্বভাবজাত হলো একাধিক প্রেম করা। জীবনসঙ্গীকে পরকীয়া হতে দূরে রাখার ৭টি পরামর্শ রইল আপনার জন্য।

১. বেশিরভাগ মেয়েই বিয়ের পর একদম বদলে যান, আর সন্তান হবার পর তো সেই পরিবর্তন আরও বেড়ে যায়। একেবারেই যেন অন্য মানুষ হয়ে ওঠেন। একটা জিনিস মনে রাখবেন, প্রিয় পুরুষটি কিন্তু বিয়ের আগের আপনাকে দেখেই ভালোবেসেছেন। তাই বিয়ের পর নিজেকে ধরে রাখুন। এতটাও বদলে যাবেন না যে স্বামীর কাছে আপনাকে অচেনা মনে হয়।

২. বিনা কারণে অমূলক সন্দেহ করা বন্ধ করুন বা সন্দেহ করে কথা শোনানো বন্ধ করে। এই অমূলক সন্দেহ করার প্রবণতা স্বামীর মনে আপনার প্রতি অনীহা ও অন্য নারীর প্রতি আগ্রহ জন্মায়।

৩. স্বামীকে শাসন করার চেষ্টা করবেন না। সর্বদা এটা করো সেটা করো বলতে থাকবেন না। অতিরিক্ত শাসন করলে মানুষটা নিশ্চিত অন্য নারীর দিকে ঝুঁকবেন।

৪. স্বামীকে ভালোবাসুন। একদম প্রেমিকার মত। মিষ্টি রোমান্টিকতায় ভরে রাখুন তার মন যেন আপনাদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের বন্ধন অটুট থাকে।

৫. নিজের সংসারকে করে তুলুন এক টুকরো শান্তির নীড়, যেন দিন শেষে এখানে ফিরে আপনারা মনের মাঝে খুঁজে পান অনাবিল প্রশান্তি। সংসারে সুখ আছে যেসব পুরুষের, তারা বাইরের দিকে আকৃষ্ট হয় না।

৬. নিজের শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ভালবাসুন, সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন মানিয়ে নিতে। আপনি তার পরিবারকে ভালো না বাসলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে স্বামী আপনার প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবেন।

৭. কখনো এমন কিছু বলবেন না যাতে বয়ফ্রেন্ড/স্বামীকে অক্ষম বলা হয়। তার বেতন, চাকরি বা অন্য কিছু নিয়ে খোঁটা দেবেন না বা এমন বলবেন না যে, আমি ছাড়া তোমাকে আর কে বিয়ে করবে। এইসব কথায় পুরুষেরা রেগে গিয়ে অনেক সময় পরকীয়া করে বসেন।



মন্তব্য চালু নেই