পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত কোনটি?

হজরত আবু জর জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল!

আপনার প্রতি নাজিলকৃত সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত কোনটি? তিনি বলে, আয়াতুল কুরসি। (নাসাঈ) ফজিলত ও নেয়ামতে ভরপুর সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। কুরআনের সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সূরা ‘সূরা আল-বাক্বারা’র ২৫৫ নম্বর আয়াত।

আয়াতটিতে মহাবিশ্বের ওপর আল্লাহর ক্ষমতার কথা বর্ণিত হয়েছে। আয়তুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতুউ ওয়ালা নাউম।

লাহু মাফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি। মান জাল্লাজি ইয়াসফায়ূ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি। ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশায়া ওয়াসিয়া কুরসীয়ু হুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি। ওয়ালা ইয়া হুদ্দুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিউল আজীম।

ফজিলত- ০১. হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না।

(নাসাঈ) ০২. হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে।

যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন।

(বায়হাকি) ০৩. হজরত উবাই বিন কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাত তার বুকে রেখে বলেন, আবুল মুনযির!

এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ।

(মুসলিম) ০৪. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, সেটি হলো আয়াতুল কুরসি। যে ঘরে এটি পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই