পপুলার ও ঢাকা ট্রমাসহ ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় কেয়ার হাসপাতাল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার বেলা ১১টা হতে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম ও এএসপি মো. শাহিদার রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারি পরিচালক ডা. মো. শাহজাহান ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার মো. রাজিবুল হাবিব।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম বলেন, শ্যামলীস্থ ঢাকা ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড অর্থোপেডিক হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক টেস্টের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়াদউত্তীর্ণ রি-এজেন্ট। অপরিষ্কার মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, ওটি রুমের অভ্যন্তরে অত্যন্ত নোংরা, রি-এজেন্ট রাখা ফ্রিজের ট্রের মধ্যে তেলাপোকাসহ মৃত পোকামাকড় থাকা। ফ্রিজের টেম্পারেচার সঠিক না থাকা এবং ল্যাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নেই।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির এম ডি ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), ম্যানেজার আলী জিন্নাহ (৪০), ফার্মাসিস্ট পাপ্পু ইসলাম (২৩) এবং রিসিপসনিস্ট আফরোজা আক্তারকে (২৩) আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের ৮ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত।

অন্যদিকে ইসলাম ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির মালিক মো. শাহজাহান (৫৫) ও খন্দকার নুরুল ইসলাম (৬০) ও ল্যাব ইনচার্জ শামসুন্নাহারকে (৪৮) আটক ও ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। একই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বিঘ্ন সৃষ্টি করায় মো. নাজিমুদ্দিন ভূইয়াকে (৪৫) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

অন্যদিকে পপুলার মেডিসিন কর্ণারের ফার্মেসিতে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বিপুল পরিমান উচ্চমূল্যের রেজিস্ট্রেশনবিহীন বিদেশি ওষুধ ব্যবহার ও বিক্রয়ের জন্য মজুদ অবস্থায় পাওয়ায় ফার্মেসি ইনচার্জ শওকত তালুকদারকে (২৪) ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

একই অভিযোগে কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন (৫২), ল্যাব ইনচার্জ বাবুল সাহা (৩১) ও গোলাম মোস্তফাকে (৩২) ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই