ভিসির পদত্যাগ দাবি

পদত্যাগ করছেন বাকৃবির ৪৮ শিক্ষক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্যের (ভিসি) পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামীপন্থি ৪৮ শিক্ষক পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ওই পদত্যাগ পত্র জমা দেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক।

শুধু তাই নয়, ভিসির নারী কেলেঙ্কারি এবং দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ শিক্ষক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসরাম নাহিদ এবং ইউজিসি চেয়ারম্যান একে আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে ভিসির পদত্যাগের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

এদিকে ভিসি পক্ষে-বিপক্ষে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দাবিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মুশের্দুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সহ সভাপতি বিজয় বর্মণ, ওয়াহাব রিন্টু, লিমন দেব প্রমুখ।

ছাত্রলীগের সভাপতি মুশের্দুজ্জামান খান জানান, ভিসি স্যারের মুঠোফোনে ঘটনার মতো ক্যাম্পাসের অনেক শিক্ষকেরই এ ধরণের ঘটনা রয়েছে। সবগুলোকে খুঁজে বের করে এসব বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ক্যাম্পাসে এ ধরণের ঘটনা আর জন্ম নেবে না। আওয়ামী সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে ছাত্রলীগ দাবি করছে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে ভিসি পক্ষে-বিপক্ষে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করার। না হলে বাকৃবি ছাত্রলীগ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আন্দোলনে নামবে।

বাকৃবি মুক্তিযোদ্ধা প্রতিষ্ঠানিক কমান্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কমিটির অনুমোদন ছাড়াই ভিসির পক্ষে সাফাই স্বরূপ আন্দোলন করে। চাকরিতে সরকার কর্তৃক ৩০ ভাগ কোটা পূরণের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমান ভিসির সম্প্রতি দেয়া ৩০৮ টি চাকরিতে এর প্রতিফলন ঘটেনি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেছে সংগঠনটি।

ভিসি পদত্যাগে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা প্রশাসনিক প্রায় ৪৮ টি পদ থেকে পদত্যাগ করে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ওই পদত্যাগ পত্র জমা দেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন শুধুমাত্র জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত পদত্যাগপত্র আমাদের হাতে আসার জন্য সময় ধার্য করেছে বর্তমান কমিটি।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বলেন, ‘আমরা আজ শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসির চেয়ারম্যানের কাছে দেখা করার ফ্যাক্স পাঠিয়েছি। উনি (শিক্ষামন্ত্রী) সময় দিলেই আমরা তার সাথে দেখা করতে যাব এবং তার অপসারণের দাবি জানাব।’

এদিকে পদত্যাগপত্র জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক বলেন, ‘৪৮ জন শিক্ষক তাদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে দাপ্তরিক কোন সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।’



মন্তব্য চালু নেই