পতাকায় মুখ ডুবিয়ে মেয়রের দীর্ঘ চুমু

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যালয়ের দেয়ালে টাঙানো মেয়রদের তালিকার প্রথম নামটি মেয়র মোহাম্মদ হানিফের। ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। ঠিক দুই দশক পরে তার চেয়ারে বসেছেন ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বাবা যেমন অবিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র, ছেলেও তেমনি বিভক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রথম নির্বাচিত মেয়র। ইতিহাস গড়ে বাবার চেয়ারে বসেছিলেন ঠিকই কিন্তু একটি জায়গায় বাবার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেননি। তবে দায়িত্ব নেয়ার বছর পার করে এবার তাও হয়ে গেল। হ্যাঁ, মন্ত্রী পদমর্যাদার কথাই বলছি।

এর আগে ঢাকার দুই নির্বাচিত মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ এবং বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা দুজনই পূর্ণ মন্ত্রী পদমর্যাদার ছিলেন। তৎকালীন সরকার একটি নির্বাহী আদেশে তাদের মর্যাদা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশন দুইভাগে বিভক্ত হওয়ার পর দুই মেয়রের পদমর্যাদা সুনিশ্চিত করা হয়নি।

অবশেষে নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলে দুই মেয়রকে পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হলো। এজন্য উচ্ছ্বাসটা মেয়র সাঈদ খোকনের একটু বেশিই হবার কথা। দেখাও গেছে তাই।

মঙ্গলবার (২১ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারির পর সাঈদ খোকনের ব্যবহৃত গাড়ি থেকে লোগো সম্বলিত নিজস্ব পতাকা নামিয়ে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দেন নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কার্যালয়ের ভেতরেও ছিল একই অবস্থা। খবর শোনার পর নিজ দপ্তরে থাকা জাতীয় পতাকায় দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনও করেন তিনি। আগামীকাল (বুধবার) নিয়েছেন বিশেষ কার্যক্রমও। সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন। সঙ্গে থাকবেন তার কাউন্সিলররাও।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি পেয়েছেন উপমন্ত্রীর মর্যাদা।

উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত হেভিওয়েট প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন। এরপর থেকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই