পঙ্গুত্বকে জয় করতে মশিউলের একমাত্র চাওয়া…

জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো। এটি বাংলার একটি অন্যতম প্রাচীন প্রবাদ। যা এখনও বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু যে জন্মের আড়াই বছর পর পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে তাকে কোন প্রবাদের কথা বলব অমরা?

পাঠক, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার তেমনি একজন হতভাগ্যের কথা বলছি আপনাদের। মশিউল আযম জন্মের মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে পোলিও রোগে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে দুই পা চিকন হয়ে গেলে পঙ্গুত্ব বরণই হয় তার নিয়তি! কিন্তু তবুও দমে যাননি মশিউল। পাংশার হাবাসপুর কেরাজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করে পরবর্তীতে ড. কাজী মোতাহার হোসেন কলেজ থেকে ব্যবসায় শাখায় জিপিএ ৪.১৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং জীবন সংগ্রামী মশিউল পাংশা কলেজ থেকে স্নাতক (পাস কোর্স) সম্পন্ন করেন।

একজন পঙ্গু অর্থাভাব-অনাহারের কারণে অনেক আগেই যার জীবন যুদ্ধে হার মানার কথা, সে কিনা একজন স্নাতক সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব! না অবাক হওয়ার কিছুই নেই। খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পরে যান তিন ভাই-বোনের মধ্যে মেঝো মশিউল।

তাকে প্রশ্ন করেছিলাম আপনার জন্য আমরা আমাদের পাঠকের কাছে কী ধরনের সাহায্য প্রার্থনা করতে পারি? তখনও একটি সংগ্রামী জবাব এলো টেলিফোনের ওপার থেকে, ‘স্যার, আমার একটা চাকরির প্রয়োজন আমি চাকরি চাই।’ সংগ্রামী জন্যই হয়তো তিনি অর্থ ভিক্ষা করতে কুন্ঠাবোধ করছেন, কুন্ঠাবোধ করারই তো কথা। একজন স্নাতক সম্পন্ন ব্যক্তির কি ভিক্ষা মানায়?

আজও অনেক হৃদয়বান ব্যক্তিত্ব এই সমাজে আছেন যারা পাশে থাকেন এরকম বিপদগ্রস্ত, অসহায়দের পাশে বটবৃক্ষের মতো। আমরা সেইসব মহানুভবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- মশিউলকে ভিক্ষা নয়, তার যোগ্যতার মাপকাঠিতে তাকে বাঁচতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। আপনাদের সামান্য সহযোগিতাই পারে মশিউলকে একজন স্বাবলম্বী এবং জাতীয় সম্পদ হিসেবে পরিণত করতে।

যোগাযোগ: মশিউল আযম, পিতা: মরহুম রমজান আলী, মাতা: খাদিজাতুল কোবরা, গ্রাম ও ডাকঘর: হাবাসপুর, উপজেলা: পাংশা, জেলা: রাজবাড়ী। মোবাইল নম্বর: ০১৭২৩-৯৬২৭১৮।



মন্তব্য চালু নেই