নৌ-নিরাপত্তায় হেলিকপ্টারের বদলে স্পিডবোট

এবার নৌ-নিরাপত্তায় হেলিকপ্টার নয়, ব্যবহার করা হবে স্পিডবোট। এ জন্য ২৫টি স্পিডবোট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও রাখা হবে ৪০টি ছোট আকারের জাহাজ। তবে গত ঈদের মতো এবার ভাড়া কমানো হচ্ছে না।

 

সোমবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ লঞ্চমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

বৈঠকে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন, নৌ-ডাকাতি ঠেকানোসহ যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হবে। এ জন্য নৌপথে পুলিশকে টহলের জন্য ২৫টি স্পিডবোট ও ৪০টি জাহাজ দেওয়া হবে। তবে গত ঈদের মতো কিলোমিটার প্রতি ভাড়া কমানো হবে না।

 

ঈদুল ফিতরে নৌ-নিরাপত্তায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিল বিআইডব্লিউটিএ। বিপুল অর্থ ব্যয়ে বেসরকারি সংস্থা থেকে ৪টি হেলিকপ্টার ভাড়া করে প্রমোদবিহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে বিআইডব্লিউটিএর বিরুদ্ধে। এর ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ কারণে এবার স্পিডবোট রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার কাজে।

 

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা খন্দকার জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন লঞ্চ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাই ঈদে এ বিষয়ে কেঠোর ব্যবস্থা থাকবে। ২৫টি স্পিডবোটের মধ্যে পাঁচটি থাকবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীনে।

 

তিনি বলেন, ‘যেহেতু লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেওয়া হবে না, তাই ভাড়া কমানোর বিষয়ে  লঞ্চমালিকরা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’

 

সভায় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই