নৌবাহিনীতে ২টি চাইনিজ সাবমেরিন যুক্ত হচ্ছে রবিবার

আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিমাত্রিক যুগে প্রবেশ করছে সশস্ত্র বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রায় এক মাস আগে রবিবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে দু’টি চাইনিজ সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক যুগে যাত্রা শুরু হবে। এর ফলে সমুদ্রসীমানায় শত্রুবাহিনীর ওপর নজরদারি বাড়ানো ছাড়াও আঘাত করার সক্ষমতা অর্জন করবে সশস্ত্র বাহিনী।

গত নভেম্বরে চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের নিকট সাবমেরিন দু’টি হস্তান্তর করেন রিয়ার এডমিরাল লিউ জিঝু (Liu Zizhu)। এ সময় চীনা এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ নামে এ দু’টি সাবমেরিনকে নৌবহরে যুক্ত করা হবে।

তখন আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছিল, চীন থেকে কেনা ০৩৫ জি ক্লাসের এ দুটি সাবমেরিনে থাকছে নানা সুবিধা। শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে আক্রমণ করার সক্ষমতা রয়েছে টর্পেডো ও মাইন দিয়ে সু-সজ্জিত এই সাবমেরিনগুলোর। এগুলো ডিজেল ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন। যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭.৬ মিটার।

অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের পরে ভারতের মিডিয়াতে চীন থেকে সাবমেরিন কেনার বিষয়টি ফলাও করে প্রচার হয়। এরপরই অক্টোবরের শেষে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর ঢাকা সফর করেন এবং বাংলাদেশের কাছে সামরিক চুক্তি করার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তি না করে সমঝোতা স্মারক করার পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই