নৌকাডুবিতে নিহতদের ৬ জন বাংলাদেশি

লিবীয় উপকূলে কয়েক শ অভিবাসী নিয়ে দুটি নৌকাডুবিতে প্রায় দুই শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি। এই ছয়জনের মধ্যে আবার দুটি শিশু রয়েছে।

তিউনিসিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের লিবিয়া দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি বাংলার।

ডুবে যাওয়া নৌকা দুটির অন্তত ২০০ অভিবাসী মারা গেছে বলে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে।

তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের লিবিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তা চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোজাম্মেল হক বলেছেন ডুবে যাওয়া নৌকা দুটিতে মোট ৩১ বাংলাদেশি ছিল।

লাইফ জ্যাকেট পরে থাকায় বেশির ভাগ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে দূতাবাসের একটি সূত্র জানিয়েছে

মোজাম্মেল হক বলেছেন, চারটি পরিবারসহ মোট ৩১ বাংলাদেশি লিবিয়ার জোয়ারা এলাকা দিয়ে ট্রলারে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে নৌকার তলদেশে ফুটো থাকায়, প্রায় এক ঘণ্টা যাওয়ার পরে নৌকাটি উল্টে যায়।

মোজ্জামেল হক আরো বলেছেন, যে দুটি শিশু মারা গেছে, তাদের একজনের বয়স ছয় বছর, আরেকজনে ছয় মাস। দুটি পরিবারের চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তবে অন্যরা লাইফ জ্যাকেট পরে থাকায় সারা রাত ভেসে ছিল। তাদের ভোরে উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা উদ্ধার হওয়া একটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অন্য দুটি পরিবার সিরতে থেকে এসেছে। বাকিরা এসেছে ত্রিপোলি থেকে।

দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবারগুলো লিবিয়াতে রয়েছে। সন্তানদের সবার জন্ম হয়েছে সেদেশেই। তবে দেশটির পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তারা সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, এর আগেও তারা খবর পেয়েছিলেন, এই পরিবারগুলো ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বারবার সতর্ক করার পরেও তারা ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এখন পরিবারগুলোর ইচ্ছা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই