নোয়াখালী সংখ্যালঘু উপর নির্যাতন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী

এম.এ.আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : নোয়াখালী ভাটির টেক উচ্চ বিদ্যায়য়ের সংখ্যালঘূ হিন্দু শিক্ষক পলাশ চন্দ্র শীল, এবং রিপন কুমার মজুমদার উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজ বিল্লা প্রকাশ ফরহাদের বিদ্যালয়ে অনৈতিক ভাবে জামাত ইসলাম এর বিভিন্ন কর্মকান্ড সহ অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু দুই শিক্ষককে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক, শারিরীক ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে বলে দুই শিক্ষকের বক্তব্য। তারা প্রধান শিক্ষকের এই অমানবিক আগ্রাসনের ব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতিকে জানালে কার্যত কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় বিগত ২০/০২/২০১৬ ইং রোজঃ শনিবার ১০টা ১৫ মিনিট সময়ে সংখ্যালঘু দুই শিক্ষকের উপরে মোস্তাফিজ বিল্লা ওরুপে ফরহাদ এর নেতৃত্বে দিদারুল আলম, জামাত ইসলামের বেশ কিছু বহিরাগত কেডার সহ স্কুল প্রাঙ্গনে অতর্কিত হামলা করে রক্তাক্ত ও যখম করে। স্কুল ছাত্র সহ আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে দুই শিক্ষককে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পলাশ চন্দ্র শীল বাদী হয়ে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানা অফিসার ইনসার্জ, পুলিশ সুপার নোয়াখালী এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেণ। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার নোয়াখালী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুধারাম থানাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ প্রদান এর পরে ও অদ্যাবধি সুধারাম থানা পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বিবাদী পক্ষ পুনরায় সংখ্যালঘু শিক্ষকদের উপরে প্রাণ নাশের মত গুরুতর হামলার আশঙ্কা করছে পলাশ চন্দ্র শীল ও রিপন কুমার মজুমদার। এ ব্যপারে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর সুধন বাবুর বক্তব্য নিতে গেলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। সংখ্যালঘুর উপর এভাবে ন্যাক্কার জনক হামলায় নোয়াখালী হিন্দু কমিউনিটি, সুশীল সমাজ, ভাটিরটেক উচ্ছ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক বৃন্দ, ব্যক্তিগত ভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য আবুল কাশেম সহ অনেকেই উক্ত ঘটানার তিব্র নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।



মন্তব্য চালু নেই