নোয়াখালী বার সমিতি আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিতে সাবেক সম্পাদককে নোটিশ

নোয়াখালী বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তন জেলা জজ আদালতের পিপি এটিএম মহিব উল্যাহকে বার সমিতির উন্নয়নে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৭৩৯ টাকার বার সমিতির হিসাবে জমা দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল জেলা বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বার সমিতির ওই আতœসাতের টাকা আগামী ০১ মার্চের মধ্যে সমিতির হিসাবে জমা দেয়ায় ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়। ২০১৩ বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কাজী কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ওই বার সমিতির উন্নয়ন করতে গিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী কবির হোসেন গত বছরের নভেম্বর মাসে আত্মসাতের ১৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকা বার সমিতির হিসাবে জমা দিয়ে বাকি টাকার জন্য তলবি সভায় আইনজীবিদের কাছে ক্ষমা চান।

নোটিশে বলা হয়েছে, পিপি এটিএম মহিব উল্যাহ ২০০৬ সালে বার সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালে বিপুল অর্থ অপচয় ও আত্মসাৎ করেছেন। সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অপর সদস্যদের অভিযোগে ২০০৬ সালের ১৫ জুন কার্যকারী কমিটি সহ-সভাপতি এ.কে.এম সামছুল ইসলাম এ্যাডভোকেট, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী এ্যাডভোকেট ও সদস্য দেবব্রত চক্রবর্তী এ্যাডভোকেটসহ ০৫ সদেস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বার সমিতির উন্নয়ন কাজে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম মহিব উল্যাহ ১৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৫০ টাকা অনিরীক্ষিত ব্যয় করার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন কমিটিকে।

পরে বার সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট নাজমুল হক, সদস্য এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন কামরান ও এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সমন্বয়ে ০৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির সাবেক বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম মহিব উল্যাহ নভেম্বর- ডিসেম্বর ২ মাসে নির্মাণ কাজে ৯ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৯৬ টাকা ব্যয় করার রিপোর্ট জমা দেন। পরে আবারও নোয়াখালী পৌরসভার প্রকৌশলী ও শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতর প্রকৌশলীর দ্বারা পৃথক পৃথক তদন্ত করে নিশ্চিত হন যে, ওই ০২ মাসে ৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৯৭ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

এতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিপি মহিব উল্যাহর বিরুদ্ধে সমিতির ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৭৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের পিপির বিরুদ্ধে বার সমিতির উন্নয়নে দূর্নীতির টাকা ফেরত দেয়ার নোটিশে আইনজীবি ও আইনজীবি সহকারীদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাবেক বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পিপি এটিএম মহিব উল্যাহ সমিতির ০১ লক্ষ ৯২ হাজার ৭৩৯ টাকা ফেরত দেয়ার নোটিশ পেয়েছেন বলে জানান। তবে এর জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান।



মন্তব্য চালু নেই