নোয়াখালী চাটখিলে শিশু-বৃদ্ধা মৃত্যুর ঝুঁকিতে দিনে ২০ ঘন্টা লোড শেডিং

গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে চাটখিলের প্রকৃতি। ভেপসা গরমে অসহ্য মানুষও প্রকৃতি। বাড়ছে তাপদাহ, ফলে দুর্বিসহ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে বাহিরে বের হওয়া নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

সেই সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধরা রয়েছেন মৃত্যু ঝুঁকিতে। এদিকে বিদ্যুৎতের লোড শেডিংয়ের কারণে অনলাইন ব্যবহার করতে না পারায় ব্যাংক, বীমা, শেয়ার বাজারে, ধস নেমেছে। বিদ্যুৎতের অভাবে পোল্ট্রী ফার্ম, হোটেল রেস্তোরা, মাছ, মুদি ব্যবসায়ও ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

বাসা বাড়িতে মোটরে পানি উঠাতে না পারায় ডোবা নালার দুষিত পানি রান্না-বান্না সহ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করার কারণে পানি বাহিত রোগ ব্যাধি বেড়ে চলেছে। তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজে ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতি কমেছে।

এদিকে বিদ্যুৎতের দাবিতে উপজেলা ব্যাপী আন্দোলনে ফুঁসে উঠছে জনতা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘন্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দশঘরিয়া পরকোট সড়ক জনপথের উপর এলাকাবাসী অবরোধ কর্মসূচি দিলে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

যার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনা স্থলে চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক শামছুল আলম উপস্থিত হয়ে দ্রুত লোড শেডিং কমিয়ে আনার জন্যে সর্বাত্বক চেষ্টার আশ্বাস প্রদান করলে, পরে অবরোধ কারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাসান তপদার, ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ। দ্রুত বিদ্যুতের লোড শেডিং কমিয়ে না আনলে ভূক্তভোগী জনতা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে হুমকী দামকী দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চাটখিল অঞ্চলের ডিজিএমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন লোড শেডিং কমিয়ে আনার জন্যে চাটখিল সোনাইমুড়ী লাইনে কাজ চলছে, তাই কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই