নেপালে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেল বাংলাদেশি ৫০ পণ্য

নেপালে শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে নেপালের ১০৮ টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতির বিনিময়ে বাংলাদেশি ৫০ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে কাঠমান্ডু।

শনিবার নেপালের জাতীয় দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নেপাল ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

গত ১১ ও ১২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত আল মামুনের নেতৃত্বে ঢাকায় বৈঠকে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এছাড়া ৯ সদস্য বিশিষ্ট নেপাল প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সে দেশের বাণিজ্য সচিব নয়ন প্রসাদ উপাধ্যায়। দুই দেশের বাণিজ্য সচিব একটি বাণিজ্যিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে প্রযুক্তিগত বাধা দূর করতে রাজি হয়েছেন কর্মকর্তারা। নেপালের বাণিজ্য সচিব নয়ন প্রসাদ উপাধ্যায় বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শিগগিরই প্রস্তাব করা হবে।

নেপাল বাংলাদেশের যে ৫০টি পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; মাছ, তামাকের মতো কৃষি পণ্য, পটেটো চিপস, টমেটো সস, তৈরি পোশাক, ব্যাটারি, বিস্কুট, সিমেন্ট। এছাড়া প্লাস্টিক পণ্য অগ্রাধিকার পাবে।

এছাড়া বাংলাদেশে পনির, মধু, গোলাপ, রডোডেনড্রন এবং এর রস, মসুর ডাল, বাঁধাকপি, স্ট্রবেরি, চাল, আনারস, ভোজ্য তেল এবং কাঁচা চামড়াসহ ১০৮টি পণ্যের শুল্ক মুক্ত রফতানির অনুমতি পেয়েছে নেপাল।

বৈঠকে আগের একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে দু’দেশ সম্মত হয়েছে বলে নেপালের বাণিজ্য সচিব নয়ন প্রসাদ উপাধ্যায় সে দেশের জাতীয় দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বাণিজ্য সহজীকরণ, বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও শুল্কবিহীন পণ্যের বাধা দূর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও দুদেশের মধ্যে টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড (টিবিটি) দূর করার লক্ষ্যে সেনেটারি ও ফাইটো সেনেটারি (এসপিএস) ব্যবস্থা সমন্বিতকরণের বিষয়েও চুক্তি হয়েছে। এতে উভয়পক্ষই বাণিজ্যিক পণ্যের মান বজায় রাখতে মানসম্মত সার্টিফিকেশন পদ্ধতি এবং ল্যাব অপারেশন অনুস্মরণ করবে।



মন্তব্য চালু নেই