নেদারল্যান্ডের অর্ধেক মানুষই খন্ডকালীন চাকুরে

বিশ্বের সুখী মানুষের তালিকায় দীর্ঘদিন শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে নেদারল্যান্ড। অনেকের দাবি টাকা পয়সাই নাকি মানুষকে সুখী করে। যারা এটা বিশ্বাস করেন নেদারল্যান্ডের সুখী মানুষগুলির সুখের পেছনের রহস্য শুনলে হয়তো ধারণা কিছুটা বদলাতে পারে। কারণ নেদারল্যান্ডের অর্ধেক মানুষই খন্ডকালীন চাকুরে। অর্থাৎ ফুলটাইম চাকুরের অর্ধেক মাইনে পান তারা। তারপরও তারা সুখী।

ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনোমিস্ট একটি পরিসংখ্যানে ডাচদের সুখের কারণের পেছনে কর্মকাঠামোর সংযোগের বিষয়টি তুলে ধরেছে। এতে দেখা গেছে, নেদারল্যান্ডের ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ নারী সপ্তাহে ৩৬ ঘন্টারও কম সময় কাজ করেন। এমনকি আরমদায়ক জীবনযাপনের জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনের কাজ করারও প্রয়োজন পড়ে না ডাচদের। তারা প্রথাগতভাবে মায়েদের বাড়িতে সংসার সামাল দেয়াটাই পছন্দ করে।

অন্যদিকে ডাচদের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশ পুরুষ ও ৪০ শতাংশ ব্রিটিশ নারী খন্ডকালীন চাকরি করেন। নেদারল্যান্ডে অনেক ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক কর্মবিভাজন পশ্চাৎপদ বলে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে নারীরা চাইলে নিয়োগকর্তাকে কোন পূর্ব সতর্কতা না দিয়েই কর্মঘন্টা কমাতে পারে। এ বিষয়ে সেখানে একটি আইনও রয়েছে।

শারীরিক ব্যায়ামের দিক থেকেও নেদারল্যান্ড ইউরোপের ২৮টি দেশের মধ্যে এগিয়ে। সুখী হওয়ার এটিও তাদের অন্যতম কারণ। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সর্বোচ্চ সংখ্যক জনগণ সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিন মধ্যম মাত্রার ব্যায়াম করে থাকে। কর্মক্ষেত্রে সময় কম দেয়ার কারণে ডাচরা দীর্ঘক্ষন ব্যায়াম করার সুযোগটি পেয়ে থাকেন। আর এ দুটি উপাদানই মূলতঃ তাদের সুখী মানুষ হওয়ার চাবিকাঠি।



মন্তব্য চালু নেই