নৃশংস হিটলারের অদ্ভুত পাঁচ তথ্য

জার্মানির নাৎসি নেতা এডলফ হিটলারকে নিয়ে গবেষকদের গবেষণার অন্ত নেই। দিন যতই যাচ্ছে হিটলার সম্পর্কে চমকপ্রদ সব তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন গবেষকরা। এবার আরও কিছু নতুন তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে হিটলার সম্পর্কে চমকপ্রদ ও অদ্ভুত পাঁচ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

১। হিটলারের অণ্ডকোষ একটি- জার্মান এক ইতিহাসবিদের দাবি, হিটলারের একটা অণ্ডকোষ ছিলো। প্রায় একশো বছরের পুরনো একটি মেডিকেল রিপোর্ট ঘেঁটে এই তথ্য পাওয়া গেছে। হিটলার নীরোগ ও শক্তিশালী হলেও তার ডান পাশের অণ্ডকোষটি অদৃশ্য বা ক্ষতিগ্রস্ত ছিলো।

২। মাদকে আসক্ত ছিলেন- একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী হিটলার প্রচুর মদ পান করতেন। শুধু এক ধরনের মদেই সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। বিভিন্ন রকমের মদের স্বাদ গ্রহণ করতেন। ২৮ রকমের মদে আসক্ত থাকলেও কোকেন ছিল অন্যতম। এসব মাদক তিনি নিজেকে আরও বেশি শক্তিশালী ও মানসিকভাবে কঠোর হতে ব্যবহার করতেন। এছাড়া যৌনজীবনে হিটলার ছিলেন অসুখী। যে কারণে বাড়তি মাদক সেবন করতেন তিনি। তবে হিটলার নিরামিষভোজী ছিলেন। আইন করে প্রাণী হত্যাও নিষিদ্ধ করেছিলেন।

৩। বিড়াল ভীতি– ইহুদি নিধন ছিল যার নেশা সেই সাহসী হিটলার নাকি বিড়াল দেখে ভয় পেতেন। বিড়াল থেকে একশ হাত দূরে থাকতেন। তার বিড়াল ভীতির কথা নেপোলিয়ন ও মুসোলিনিকে জানিয়েছিলেন।

৪। মিষ্টিপ্রীতি- নৃশংস হিসেবে খ্যাত এ মানুষটি মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসতেন। বিশেষ করে চকলেটের প্রতি তার আলাদা একটা দুর্বলতা ছিল। দৈনিক দুই পাউন্ড চকলেট খেতেন হিটলার।

৫। অনিদ্রা- সাহসী হিটলারে ঘুমে খুব সমস্যা ছিলো। প্রকটভাবে অনিদ্রায় ভুগতেন। রাতে ঘুমানোর সময় তাকে ডাকা বারণ ছিলো। এজন্য হিটলারকে খেসারত দিতে হয়েছেলো। ১৯৪৪ সালের ৬ জুন ফ্রান্সের নরম্যান্ডির উপকূলে মিত্রবাহিনী অবতরণ করে, তখন হিটলার ঘুমিয়ে ছিলেন। যে কারণে মিত্রবাহিনীর আগমন সম্পর্কে হিটলারকে জানানো কিংবা সেখানে কোনো সৈন্য পাঠানো কারো সাহস ছিলো না।



মন্তব্য চালু নেই